এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা ধরতে এবার ভরসা হবে কুকুর? নতুন পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা! শুরু হয়ে গেল গবেষণার কাজ!

করোনা ধরতে এবার ভরসা হবে কুকুর? নতুন পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা! শুরু হয়ে গেল গবেষণার কাজ!


গন্ধ শুঁকে লুকিয়ে থাকা আরডিএস বিস্ফোরক খুঁজে দেওয়া তার কাছে কোন ব্যাপারই না। যেকোনো তদন্ত করে সঠিক দিশা দেখাতে পারে প্রশিক্ষিত সারমেয়ের দল। এমনকি তাঁদের ঘ্রাণ শক্তি কাজে লাগিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধার করতেও তাঁদের জুড়ি মেলা ভার। সম্প্রই একটি চমকপ্রদ বিষয় সামনে এসেছে। সেটি হলো এবার নিজেদের ঘ্রাণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে করোনা আক্রান্ত রুগী চিহ্নিত করবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর। বিজ্ঞানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কিছু বিশেষ কুকুরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে এবার করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার কাজে লাগানোর চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ শুরু করে দিয়েছে ব্রিটেন। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে করোনা রোগী শনাক্ত করে ফেলবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয়। ব্রিটেন সরকারের এই গবেষণায় ইতিমধ্যে বরাদ্দ করেছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকারও বেশি বলে জানা গেছে। যদি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয় করোনা আক্রান্তদের উদ্ধার করতে পারে তাহলে একদিকে প্রচুর অর্থ বেঁচে যাবে দেশের বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ডুরহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও মেডিক্যাল ডিটেকশন ডগস নামের একটি সংস্থা যৌথভাবে এই গবেষণা চালাবে বলে জানা গেছে।

এজন্য ইতিমধ্যেই ল্যাব্রাডর ও স্প্যানিশ প্রজাতির ছটি কুকুরকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই কুকুরগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যাতে তারা করোনা আক্রান্ত এবং সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের গন্ধ নিজেরাই পৃথক করে বুঝতে পারে। গবেষকরা জানিয়েছেন, বায়ো ডিটেকশন ডগ আগে থেকেই বিশেষ কিছু ক্যান্সার রোগীকে শনাক্ত করতে পারে। এমনকি ম্যালেরিয়া বা পারকিনসস রোগীকেও শনাক্ত করতে পারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর। শনাক্তকরণে কুকুরের সাহায্য নেওয়া এমন কিছু অস্বাভাবিক ব্যাপার নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বৃটেন, ফ্রান্স এবং আমেরিকাতেও কুকুর দিয়ে রোগী শনাক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে গবেষকদের দাবি, তাঁদের পরীক্ষা যদি সফল হয়, তাহলে এক একটি কুকুর ঘন্টায় আড়াইশো জন করোনা রোগী শনাক্ত করতে পারবে এবং এই পদ্ধতি যদি সঠিকভাবে চালানো যায়, তাহলে আগামী দিনে করোনা রোগী শনাক্তকরণে যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত চিহ্নিত হবে এটি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি দেশেই  লকডাউন ওঠার পর জনজীবন স্বাভাবিক ভাবেই আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।

ফলে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর একটা সম্ভাবনা থাকবেই। সেই সময় আক্রান্ত রোগীর দ্রুত শনাক্তকরণ প্রয়োজন। তা করতে গিয়ে কুকুরের সাহায্যে যদি করোনা রোগীদের শনাক্তকরণ করা যায়, তাহলে দ্রুত অনেক বেশি মানুষকে স্ক্রিনিং টেস্ট করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত কুকুরের ঘ্রাণশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অসুখের গন্ধ বিচারের বিষয়টি এবার নতুন করে কাজে লাগাতে চলেছে বৃটেনের একদল বিজ্ঞানী। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রশিক্ষণ দিলে উপযুক্ত কুকুরেরা করোনা ভাইরাস চিহ্নিত করতে পারবে। তবে দেখার উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেয়ে সারমেয়রা গন্ধ শুঁকে নির্ভুলভাবে কিভাবে করোনা রোগী শনাক্ত করতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!