এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > কোটি কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত দাপুটে বিজেপি নেতা, প্রবল অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে

কোটি কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত দাপুটে বিজেপি নেতা, প্রবল অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৮ বছর ধরে প্রধানের পদে ছিলেন গোবিন্দ হাজরা। তৃণমূলের জন্ম লগ্ন থেকেই দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তিনি পদত্যাগ করেছেন ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে যোগদান করেছেন বিজেপিতে। একটা একটা সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুধ, কখনো বা মুড়ি বিক্রি করতেন তিনি। কিন্তু, এখন তিনি কয়েক শ’ কোটি টাকার মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে বহু মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে। লিলুয়া থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আগামীকাল তাঁকে হাওড়া আদালতে তোলা হবে।

জগদীশপুরের অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি হলেন গোবিন্দ হাজরা। তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আছে। অভিযোগ উঠেছে, জগদীশপুর হাটকে মুম্বাইয়ের এক ব্যবসায়ীর কাছে তিনি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একের পর এক দুর্নীতি করেছেন। ওয়ারিশান সার্টিফিকেট নিতে গেলে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা তাঁকে দিতে হত, সরকারি প্রকল্পে বাড়ি নিতে গেলে তার ২৫% তাঁকে দিতে হতো, ট্রেড লাইসেন্স পেতে ২০ হাজার টাকা তাঁকে দিতে হতো, এছাড়া বেআইনি সিন্ডিকেট চালানোর অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সরকারের খাস জমিতে পুকুর ভরাট করে অনুষ্ঠান বাড়ি তৈরির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, লক্ষ লক্ষ টাকার জিনিস কিনে দাম দেননি তিনি। হার্ডওয়ারের দোকান থেকে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার জিনিস কিনেও তিনি টাকা দেননি। দোকান বিক্রির নাম করে তিনি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন, কিন্তু দোকান দেননি, চাকরি দেওয়ার নাম করে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারিত করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে চক্ষুচড়ক গাছ অবস্থা তদন্তকারীদের। কিন্তু যতদিন তিনি তৃণমূলে ছিলেন, ততদিন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিজেপিতে যোগদানের পর তাঁর বিরুদ্ধে একেরপর এক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণে এখন নানা অভিযোগে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।

এই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ রয়েছে। এলাকার বহু মানুষের সঙ্গে ১৮ বছর ধরে একের পর এক দুর্নীতি করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় নাগরিক মঞ্চ পর্যন্ত তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, জগদীশপুরে তিন বিঘা জমি দখল করে তিনি বাগান বাড়ি তৈরি করেছেন। জেলা, জেলার বাইরে ২০ টি বাড়ির মালিক তিনি। জগদীশপুর, শিবপুর, কদমতলা, বেলগাছিয়াতে তাঁর বাড়ি রয়েছে। হোটেল করেছেন তিনি দিঘা, পুরি, মন্দারমণীতে, বর্ধমানে তিনি পেট্রোল পাম্পও করেছেন। একজন দুধ বিক্রেতা, মুড়ি বিক্রেতার এই উত্থান বিস্মিত করে দিয়েছে স্থানীয় মানুষ ও তদন্তকারীদের। তাঁকে নিয়ে দলের অস্বস্তিও বাড়তে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!