এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > করোনার মধ্যেই ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটায় বিদ্ধ তৃণমূল, প্রাক্তন মন্ত্রী দ্বায়িত্ব পেতেই মনোমালিন্য শুরু

করোনার মধ্যেই ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটায় বিদ্ধ তৃণমূল, প্রাক্তন মন্ত্রী দ্বায়িত্ব পেতেই মনোমালিন্য শুরু

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা সত্ত্বেও তৃণমূল নেতারা শোধরাবেন না কিছুতেই। কিছুদিন আগেই মালদহ জেলা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। মালদহের বুথভিত্তিক কর্মীসভা থেকে নেতারা কেন এক হতে পারছে না, তা নিয়ে প্রকাশ্যে সকলকে ধমক দিয়েছেন তিনি। দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন, যাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমে যায়। কিন্তু কিসের কি, দায়িত্ব পেলেই যে নেতারা নিজেদের হনু ভাবতে শুরু করেন, তা ফের প্রমাণিত হয়ে গেল। সাথে সাথে এটাও প্রমাণ হয়ে গেল যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তা সত্ত্বেও তৃণমূল নেতারা তাদের ইগো ছাড়বেন না।

বস্তুত, দীর্ঘদিনের বসে থাকা প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে এবার অনেকটাই সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি কনভেনার হওয়ায় রীতিমতো সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূলের একাংশ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূরকে ঘিরে বিক্ষোভ করতেও দেখা গেছে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অনুগামীদের।

প্রসঙ্গত, এই মালদহ জেলায় মোট বারোটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। গত 2016 বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই মালদহ জেলায় ভরাডুবি হতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের। আর এরপর লোকসভাতেও তৃণমূলের মালদা জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্র হারানোর পর প্রবল ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় নেতাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই যে দলের এই ফলাফল হয়েছে, তা অনুধাবন করে সম্প্রতি মালদা জেলায় এসে দায়িত্ব ভাগ করে দেন তিনি। আর দায়িত্ব পেয়েই শুক্রবার বামনগোলায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে সেই ব্লকের দায়িত্ব থেকে অমল কিস্কুকে সরিয়ে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী সেখানকার কনভেনার করেন ফাইজুল শেখকে। আর এতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের দাবি, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী নিজের অনুগামীকে এখানকার দায়িত্ব দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করবার দায়িত্ব সমস্ত নেতাদের দিলেন, সেখানে কেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী একজন ব্লকের কনভেনার থাকতেও, তাকে সরিয়ে দিয়ে নিজের অনুগামীকে সেই পদে বসালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে দলের একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “এখন করোনা মহামারী আতঙ্ক চলছে। এই পরিস্থিতিতে কোনো দলীয় কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। প্রত্যেক ব্লকের কর্মীদের করোনা মোকাবিলায় এবং সচেতনতা নিয়ে প্রচার করার জন্য বলা হয়েছে।” এদিকে ব্লকের কনভেনার বদলে যাওয়ায় অমল কিস্কুর অনুগামীরা ইতিমধ্যেই জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর কাছে দরবার করে। এমনকি বিক্ষোভ পর্যন্ত হয়। এই প্রসঙ্গে অমল কিস্কু বলেন, “একজন থাকতে কি করে কৃষ্ণেন্দুবাবু ব্লকের কনভেনার অন্য এক ব্যক্তিকে করেন!” সত্যিই তো তাই! কেন এমনটা হল!

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো কনভেনার করা হয়নি বা কোনো সভাপতি বদল করা হয়নি। কোথাও পরিবর্তন করতে গেলে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গে আলোচনা করে করা হবে।” তবে মৌসম নূর যে কথাই বলুন না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পরেও যেভাবে মালদহ জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বজায় রয়েছে, তাতে মালদহে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আদৌ কমবে কিনা, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!