সরকার বাঁচাতে মরিয়া কুমারস্বামী আজও আস্থাভোটে না যাওয়ার পরিকল্পনায়? জাতীয় July 22, 2019 কর্ণাটক বিধানসভায় নাটক চরমে! রাজ্যপালের নির্দেশ উড়িয়ে বারে বারে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে আস্থাভোট। কেননা এই মুহূর্তে আস্থা ভোট হলে কুমারস্বামী সরকারের পতন একপ্রকার নিশ্চিত। আর তাই নতুন পরিকল্পনায় জেডিএস-কংগ্রেস জোট। বিধানসভায় চলছে শুধুমাত্র সময় নষ্টের খেলা। কিন্তু, তা আর কতক্ষন? সেই প্রশ্নই ঘুরছে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য ঘিরে। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও যখন কুমারস্বামী সরকার বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে রায় নিজেদের পক্ষে নিয়ে আস্তে পারেননি, তখন একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিধানসভায় বিজেপির মুখোমুখি হয় তারা। গত বৃহস্পতিবারই কর্ণাটকের রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, মধ্যরাত পেরিয়ে গেলেও সেদিনই যেন আস্থা ভোট হয়ে যায়। কিন্তু তা না শুনে, ‘সময় কেনার’ জন্য বিধানসভা মুলতুবি করে দেয় হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপর শুক্রবার, দু-দুবার রাজ্যপালের দেওয়া ‘ডেডলাইন’ উড়িয়ে আবারো সোমবার পর্যন্ত বিধানসভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়। জোট সরকারের মনে আশা ছিল, মাঝখানে শনি-রবি দুটো দিন পাওয়া যাচ্ছে, বিদ্রোহী বিধায়কদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে কোনোরকমে বিধানসভায় এনে সরকার বাঁচিয়ে নেবেন। কিন্তু, বিদ্রোহী বিধায়করা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই সরকারের উপর অনেক আস্থা থাকলেও, এই সরকার কাজ করছে না। ফলে, পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নেওয়া বা সমসার্থন করার প্রশ্নই নেই। ফলে, আজ দুপুর দেড়টার মধ্যে আস্থা ভোট হওয়ার কথা থাকলেও, এক-একজন কংগ্রেস নেতা বলতে উঠে দেড় ঘন্টারও বেশি সময় নিয়ে, অধিবেশনকে দীর্ঘায়িত করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। আপাতত বিধানসভা সাড়ে তিনটে পর্যন্ত মুলতুবি হয়েছে। তবে, কালকে বিদ্রোহী বিধায়কদের স্পিকার ডেকে পাঠানোয়, মনে করা হচ্ছে, আজকেও দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়ে সময় নষ্ট করে দিন কাটিয়ে দেবেন জোটের নেতারা। যাতে কাল বিদ্রোহী বিধায়করা স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে এলে, তাঁদের ‘জোর’ করে বিধানসভায় উপস্থিত করানো যায়। আপনার মতামত জানান -