এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জরুরি ভিত্তিতে দলীয় নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক মমতার! বাড়ছে জল্পনা

জরুরি ভিত্তিতে দলীয় নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক মমতার! বাড়ছে জল্পনা


করোনা মোকাবিলায় এখন গোটা দেশ তথা রাজ্যের লকডাউন চলছে। কিভাবে এই ভাইরাসকে মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে সচেষ্ট প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে প্রথম থেকেই এই ভাইরাসের মোকাবিলা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপি বর্তমানে রেশন ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে। যেখানে কোথাও রেশনের নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়া, আবার কোথাও বা তৃণমূলের স্থানীয় নেতা নেত্রীর পক্ষ থেকে সেই সামগ্রী তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যে দলের সংগঠনের ব্যাপারে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সূত্রের খবর, শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের প্রতিটি জেলার দলীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী। জানা গেছে, বিরোধীদের এই প্রচারের জবাব কিভাবে দিতে হবে, তা এদিন প্রতিটি জেলা সভাপতিদের জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারের ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, রেশন নিয়ে কারো কোনো বেয়াদবী বরদাস্ত করা হবে না।

ইতিমধ্যেই তাদের সরকার যে রেশনে দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাও জেলা সভাপতিদের জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বিরোধীরা এই ব্যাপারে প্রচার করলেও পাল্টা দলের নেতাদের ময়দানে নামার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যেখানে বিরোধীদের প্রচারের জবাব দিতে হবে বলে জেলা সভাপতিদের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিয়েই যে সমস্ত কর্মসূচি করতে হবে, তাও জানিয়ে দিতে ভোলেননি তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে দলনেত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “আমাদের সরকারই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে সবচেয়ে আগে। আমাদের সরকারই কেন্দ্রীয় সরকারের আগে লকডাউন ঘোষণা করেছে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্র নানাভাবে আমাদের সরকারকে হেয় করার চেষ্টা করছে। প্রতিটা পদক্ষেপে বাধা দিচ্ছে। সে সব বাধাকে যে পাত্তা দিলে চলবে না, সে কথাই দলনেত্রী আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাধা উপেক্ষা করে নিজেদের কাজ করে যেতে বলেছেন। আর বিজেপি যা বলছে, তা যে মিথ্যা, সে কথা মানুষকে আরও ভালো ভাবে বোঝানোর কাজ এখন থেকেই শুরু করে দিতে বলেছেন।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রেশন এর মাধ্যমে গরিব মানুষদের সহযোগিতা করলেও সেখানে প্রবল দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সবথেকে বেশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার ফলে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্যের শাসকদলের। আর তাই এই সময় জেলায় জেলায় রেশনে দুর্নীতি যাতে না হয় এবং তাকে কেন্দ্র করে দলের অস্বস্তি যাতে না বাড়ে এবং বিরোধীরা যাতে এই ইস্যুতে প্রচার করতে না পারে, তার জন্য দলের জেলা সভাপতিদের একগুচ্ছ নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!