এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ, করোনা আতঙ্কের মাঝেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠলো রাজনীতির অভিযোগ

বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ, করোনা আতঙ্কের মাঝেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠলো রাজনীতির অভিযোগ

মহামারী কোনো রাজনীতি বোঝে না। দলমত নির্বিশেষে এখন করোনা ভাইরাস সকলকে আক্রমণ করতে উদ্যত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে হাতে হাত বেঁধে সকলের পথ চলা উচিত বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু বাংলার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক এরকম হচ্ছে না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। পাল্টা শাসকদলের পক্ষ থেকে সেই বিরোধীদের করা হচ্ছে কটাক্ষ। আর শাসক-বিরোধী এই চাপানউতোর এখন মহামারি পরিস্থিতিকে আরও ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর করে তুলছে।

সম্প্রতি রেশনের ত্রাণ থেকে শুরু করে বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসা, করোনায় প্রকৃত সংখ্যা চেপে যাওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। আর বিরোধীরা যখন রাজ্য সরকারকে লাগাতার আক্রমণ করছে, ঠিক তখনই সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি করোনা পরিস্থিতিতে আর কোনো রাজনীতি করবেন না। বিরোধীদেরও কথা দিতে হবে, তারা যেন কোনো রাজনীতি না করে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এই কথা বললেও এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই করোনার মত ভয়াবহ পরিস্থিতিতে উঠল রাজনীতি করার অভিযোগ।

যেখানে সাধারন মানুষ দুর্দিনে, সেখানে বিরোধী দল ছেড়ে নিজেদের দলে নেতাকর্মীদের যোগদান করাতে দেখা গেল তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দেওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই গড়বেতায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন 27 জন কর্মী। জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় গড়বেতা বিধানসভা কেন্দ্রের হুমগড়ে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে একটি দল বদল হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক আশিস চক্রবর্ত্তী। প্রায় 27 জন বিজেপি নেতা কর্মীকে নিজেদের দলে যোগদান করিয়ে আশিসবাবু বলেন, “পিয়াশালা অঞ্চলের 21 জন এবং সারবোত অঞ্চলের 6 জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই অঞ্চলের আরও অনেক বিজেপি কর্মী তৃণমূলে আসবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে দলবদলকারী নেতাকর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণ হিসেবে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন। কিন্তু যখন মহামারী চলছে, তখন দলবদলের এত আড়ম্বর নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির গোয়ালতোড় উত্তর মন্ডলের সভাপতি উজ্জল হাটুই বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে যখন বলছেন এই সময়ে রাজনীতি করবেন না, তখন তার দলের বিধায়ক করোনার সময় মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে রাজনীতি করতে নেমেছেন। করোনার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নেওয়ার নাম করে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে।” আর বিজেপি নেতার এই কথায় এখন কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

একাংশের মতে, সত্যিই তো তাই! যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন, এই সময় কোনো রাজনীতি নয়। সেখানে কেন এই দলবদলের পালা! কিছুদিন পরে কি তা করা যেত না? মানুষ যখন দুর্দিনে, তখন মহামারী যদি ভয়ঙ্কর আকার নেয়, তাহলে এই দলবদল করে আদৌ কোনো রাজনৈতিক দলের কি কোনো লাভ হবে!

এদিন এই এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক আশিস চক্রবর্ত্তী বলেন, “এর জন্য তো কোনো সভা, মিছিল, জমায়েত বা মাইকের ব্যবস্থা ছিল না। একজন পার্টিকর্মীর বাড়িতে স্বেচ্ছায় যারা এসেছিলেন, তাদেরকেই দলে নেওয়া হয়। এটা রাজনীতির কোনো বিষয় নয়। পুরোটাই ঘরোয়া।” তবে তৃণমূল বিধায়ক যে কথাই বলুন না কেন, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি না করার ব্যাপারে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, তখন কেন প্রথম তৃণমূল নেত্রীর সেই বার্তাকে ভঙ্গ করল তার নিজের দলের কর্মীরা! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে গোটা রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!