উত্তর থেকে দক্ষিণ, বাম-কংগ্রেস জোটের কাছে পর্যদুস্ত শাসকদল, বাড়ছে জোটজল্পনা বিশেষ খবর রাজ্য January 2, 2018 গত বিধানসভা নির্বাচনে দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে হাতে হাত ধরে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে মহাজোট করে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। কিন্তু বাম-কংগ্রেসের সেই মহাজোট বাস্তবে মুখ থুবড়ে পরে, একা লড়ে তৃণমূল নেত্রী ঘরে তোলেন ২১১ টি আসন, মুখ থুবড়ে পড়ে মহাজোট। ফলে অবশ্যম্ভাবী ভাবে প্রশ্ন উঠে যায় জোটের ভবিষ্যতের। পরবর্তীকালে রাজ্যে হয়ে যাওয়া উপনির্বাচনগুলিতে জোট ভেঙে বেরিয়ে এসে পৃথক পৃথক ভাবে প্রার্থী দেয় বাম ও কংগ্রেস। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়, দুই দলের ভোট তো কমেই, উল্টে লাফিয়ে লাফিয়ে ভোট বাড়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির। এই পরিস্থিতিতে আগামী পঞ্চায়েতে ওই দুই দলকে আটকাতে কি সিদ্ধান্ত নেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ত্ব সেদিকেই তাকিয়ে বাম ও কংগ্রেস উভয় দলের কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু জোটই যে ভবিষ্যৎ, তা আরও একবার প্রমান হয়ে গেল নীচুতলার নির্বাচনে। একদিকে দীর্ঘ ৪২ বছর পর তমলুক শহরের রত্নালী বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমিতির নির্বাচনে নজিরবিহীনভাবে বাম প্রগতিশীল প্রার্থীরা জয়ী হলেন বিপুল ভোটের ব্যবধানে। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের ইসলামপুর হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচনে সবকটি আসনেই জয়লাভ করল বাম-কংগ্রেস জোট। শুধু তাই নয়, গত চার-পাঁচ মাসে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর গড় হিসাবে খ্যাত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন স্কুলে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। আর দক্ষিণের এই হাওয়া এবার উত্তরেও পৌঁছে যাওয়ায় নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে আগামী পঞ্চায়েতে জোটের জন্য চাপ শীর্ষ নেতৃত্ত্বের উপর আরো প্রবল হবে বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা। আপনার মতামত জানান -