এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অধুনা বিজেপির এই চারমূর্তিই মমতা ব্যানার্জির ‘তুরুপের তাস’ ছিল! মেনে নিচ্ছে বামফ্রন্টও!

অধুনা বিজেপির এই চারমূর্তিই মমতা ব্যানার্জির ‘তুরুপের তাস’ ছিল! মেনে নিচ্ছে বামফ্রন্টও!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – ভোটব্যাঙ্কে রক্তক্ষরন হয়ে ক্ষমতার অলিন্দ থেকে অনেক দূরে সরে গেলেও – রাজনৈতিক পর্যবেক্ষনে বামেদের গ্রহণযোগ্যতা আজও অনস্বীকার্য রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। একদম তৃণমূল স্তর থেকে শুরু করে সংগঠনের শীর্ষ স্তর পর্যন্ত – পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণে বামনেতারা সর্বদাই তাঁদের এলেম দেখিয়েছেন। আর, সেই বিশ্লেষণ শুধুমাত্র নিজেদের দলের ক্ষেত্রেই নয় – সমানভাবে তাঁরা করে এসেছেন বিপক্ষ দলগুলির ক্ষেত্রেও। আর এই নিখুঁত হিসেবেই ছিল বামেদের ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকার অন্যতম চাবিকাঠি বলে মনে করেন অনেকেই।

বর্তমানে বামেদের ক্ষমতা গেলেও, সেই বিশ্লেষণী ক্ষুরধার মস্তিস্ক আজও অটুট বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। ফলে, বামেদের করা কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষণ আজও বিশেষ গুরুত্ব পায় রাজনীতির কারবারিদের কাছে। এত ভূমিকার কারণ? গতকাল বাঁকুড়ায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর এক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষন। যে পর্যবেক্ষনে জড়িয়ে আছে অধুনা রাজ্য-রাজনীতির দুই যুযুধান শিবির তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি এবং সংশ্লিষ্ট চার নেতা-নেত্রী।

সুজনবাবু তৃণমূল-বিজেপির সম্পর্ক বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্তমান-ভবিষ্যৎ বর্ণনায় যে কথা বলেন তাতে বেশ আলোড়িত রাজনৈতিক মহল। সুজনবাবুর কথায় – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সামগ্রিকভাবে মূল বা মাদার সংগঠনের একনম্বর হন তাহলে সেখানে দুনম্বর ছিলেন মুকুল রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাত্র-যুবর একচ্ছত্র অধিপতি ধরলে তার দুনম্বর ছিলেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘গুণ্ডামিতে’ সাহায্য করা দুনম্বর ছিলেন অর্জুন সিং এবং পুলিশ-প্রশাসন ও জঙ্গলমহলকে ‘ঠান্ডা’ করে দুনম্বরে ছিলেন ভারতী ঘোষ। আর এঁরা সবাই এখন বিজেপিতে – ফলে অবধারিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবিষ্যৎও নাকি বিজেপিই!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ, সুজনবাবুর পর্যবেক্ষনে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চার ব্রম্ভাস্ত্র হলেন যথাক্রমে – মুকুল রায়, শঙ্কুদেব পণ্ডা, অর্জুন সিং এবং ভারতী ঘোষ। এঁরা নিজ-নিজ ক্ষেত্রে তৃণমূলে থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শীর্ষে রেখে অঘোষিত দুনম্বর জায়গাটা নিয়েছিলেন বলেই (মাদার, ছাত্র-যুব, আক্রমনে প্রতিপক্ষকে আটকে দেওয়া – সুজনবাবুর কথায় ‘গুন্ডামি’ এবং পুলিশ-প্রশাসন-জঙ্গলমহল-মহিলা) তৃণমূলের সেই রমরমা ছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, এঁরা তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতেই – তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে ভাটা আর তুমুল উত্থান বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে।

অর্থাৎ বামপন্থীদের পর্যবেক্ষনই স্পষ্ট করে দিচ্ছে – গেরুয়া শিবিরের আসল ‘চতুস্কোণ সমীকরণ’ কি হতে চলেছে বা হতে পারে। তৃণমূলকে মুকুল-শঙ্কু-অর্জুন-ভারতী যে ‘ফর্মুলায়’ সাফল্য এনে দিয়েছিলেন, গেরুয়া শিবিরে এসে সেই একই ফর্মুলায় ঝড় তুলছেন তাঁরা। আর গেরুয়া শিবিরও খুব দ্রুত সেটা উপলব্ধি করেই অতি দ্রুত সংগঠনে তুলে আনছেন এই চার হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীকে। আর সেই ফর্মুলায় বিশেষ জায়গা নিতে চলেছেন গুরু-শিষ্য জুটি অর্থাৎ মুকুল রায় ও শঙ্কুদেব পণ্ডা। ইতিমধ্যেই গুরু মুকুল রায় মাদার ভেঙে তছনছ করছেন তো অন্যদিকে শিষ্য শঙ্কুদেব পণ্ডা ছাত্র-যুবতে ঝড় তুলে দিয়েছেন।

আর মুকুল-শঙ্কু জুটির এই আক্রমণাত্মক খেলা আটকাতে ঘুম ছুটেছে তৃণমূলের শীর্ষস্তরের বলে মেনে নিচ্ছে গেরুয়া শিবিরের একাংশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষনেতা জানান, মুকুল-শঙ্কু-অর্জুন-ভারতী তৃণমূলে কি কাজটা করত সেটা তৃণমূল অনুধাবন করে নি। ফলে, এদের কোনোদিন যোগ্য সম্মানটাই দিল না। আসলে দাঁত থাকতে তো লোকে দাঁতের মর্ম বোঝে না! ফলে, এদের ‘পেনিট্রেশন’টা রাজনৈতিকভাবে অনভিজ্ঞ এক নেতাকে ‘প্রমোট’ করতে গিয়ে তার হাতে দেওয়ার চেষ্টা করল। আর সেই ‘অভিমান’ থেকেই এই ‘চারমূর্তি’ বিজেপিতে এসেও দেখিয়ে দিচ্ছে – রাজনৈতিক ‘পরিবর্তন’ করতে এঁদের কোনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরকার হয় না। এঁদের নিজেদের মত সম্মানসহ কাজ করতে পারলে যে কোনো ফুলই ফোটাতে পারে – তা সে ঘাসফুলই হোক বা পদ্ম!

https://www.youtube.com/watch?v=zPJRCYoDIfg

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!