এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এনআরসি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে বিজেপি আর সিপিএমের রাজনীতি করা চিরতরে বন্ধ করার হুমকি অভিষেকের

এনআরসি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে বিজেপি আর সিপিএমের রাজনীতি করা চিরতরে বন্ধ করার হুমকি অভিষেকের

এনআরসি নিয়ে আতঙ্কে রাজ্যের প্রায় ছয় জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ফলতায় কালাচাঁদ মিদ্যা নামে এক ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন। সোমবার বিকেলে সেই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের তিন লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করলেন ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাশাপাশি সেই মৃত ব্যক্তির বাড়িটি যাতে পাকা দোতলা করে দেওয়া যায়, তার জন্যও এদিন জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের এই তৃণমূল সাংসদ। এদিন এনআরসি নিয়ে এই মৃত্যুর জেরে ফলতায় একটি প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূল। আর সেই সভা থেকেই বিজেপি এবং সিপিএমকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “কালাচাঁদ মিদ্দার মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে জানতে পেরেছি, উনি টিভি দেখে এনআরসি নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন। 1971 সালের আগের নথিপত্র খুঁজে পাননি। তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু মাথায় রাখবেন বাংলায় এনআরসি করা অত সহজ ব্যাপার নয়। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত উদার নই। ফলতায় এই মৃত্যুই যেন প্রথম এবং শেষ মৃত্যু হয়। আমার লোকসভা কেন্দ্রে যদি আর একটা ঘটনা ঘটে, তাহলে এই জেলায় বিজেপি আর সিপিএমের রাজনীতি করা আমি চিরতরে বন্ধ করে দেব।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথা থেকেই স্পষ্ট তিনি বিরোধী শক্তিকে আর মাথাচাড়া দিতে দেবেন না। এনআরসি নিয়ে এই মৃত্যু হয়েছে কথা তুলে ধরে তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে কার্যত হুঁশিয়ারিই দিয়ে গেলেন এদিনের সভা থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এনআরসি প্রসঙ্গে এদিনের দলীয় সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “অসমে এনআরসিতে মুসলমান তাড়াতে গিয়ে 12 লক্ষ হিন্দু ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। পদ্মে ভোট দিয়ে এখন তাদের পদ্মানদীর ওপারে চলে যেতে হচ্ছে। কিন্তু বাংলায় এটা হবে না। ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম যদি অমিত শাহ হয়, তাহলে বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যতদিন উনি আছেন, ততদিন এনআরসির একটা ফর্মও বাংলায় প্রবেশ করতে দেব না।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এনআরসি নিয়ে যেভাবে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা সেই পরিস্থিতিকে আরও গরম করে তুলল। এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রতিবাদ সভা করছেন, ঠিক তখনই বারুইপুরের ফুলতলায় বিডিও অফিসের কাছে বারুইপুর ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে গণঅবস্থান এবং সত্যাগ্রহ পালন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী।

এদিন তিনি বলেন, “ভারত সরকার বিলগ্নিকরনে নেমেছে। ছোট ছোট কোম্পানিগুলো এর ফলে উঠে যাবে। নাগরিক পঞ্জির মাধ্যমে বিদেশি চিহ্নিত করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে তাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। প্রতিটি অঞ্চল এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে।” সব মিলিয়ে এবার এনআরসির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ফলতায় মৃতের বাড়িতে গিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে শোরগোল তুললেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!