এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > ভারতে এখনও করোনার “বিস্ফোরণ” হওয়া বাকি! লকডাউন শিথিলে বড়সড় আশঙ্কার কথা জানাল WHO!

ভারতে এখনও করোনার “বিস্ফোরণ” হওয়া বাকি! লকডাউন শিথিলে বড়সড় আশঙ্কার কথা জানাল WHO!


করোনা ভাইরাস যাতে ভারতবর্ষে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে না পারে, তার জন্য প্রথম থেকেই লকডাউনের পন্থা বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেখতে দেখতে চার দফা লকডাউন শেষে পঞ্চম দফার লকডাউনে পা দিয়েছে ভারতবর্ষ। তবে এই পঞ্চম দফার লকডাউনে বেশকিছু শিথিলতা চলে আসায় ভারতে ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। যত দিন যাচ্ছে, ততই তা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

আর এই পরিস্থিতিতে দেশের লকডাউন শিথিল হওয়ায় করোনা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু কে। জানা গেছে, করোনা সংক্রমনের নিরিখে এখন সারাবিশ্বে ভারত পঞ্চম স্থানে রয়েছে। যা নিঃসন্দেহে চিন্তার কারণ গোটা দেশের জন্য। ইতিমধ্যেই স্পেনকে ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত বর্ষ। প্রসঙ্গত, গত 24 ঘন্টায় ভারতে রেকর্ড সংক্রমণ এবং মৃত্যু হয়েছে।

নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় 9 হাজার 887 জন মানুষ। যার ফলে গোটা দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে 2 লক্ষ 36 হাজার 657 জন। তবে গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে সবথেকে বেশি আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলায় দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি মৃত্যুর হার। যা শতাংশের বিচারে 12.3 শতাংশ। অন্যদিকে গোটা দেশে জাতীয় গড়ে মৃত্যুর হার প্রায় 2.8 শতাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে গুজরাটের আমেদাবাদে প্রতি 10 লক্ষ জনসংখ্যায় মৃত্যু হচ্ছে প্রায় 115 জন মানুষের। আর এই গোটা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে শুধুমাত্র লকডাউন শিথিল করে দেওয়ার জন্যই বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। লকডাউন যদি আরও কিছুদিন বহাল রাখা যেত, তাহলে পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দেওয়া যেত বলে মনে করছেন তারা। আর তাই এমতাবস্তায় ভারতের জন্য দুঃসময় আসছে বলে আশঙ্কা করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে হু এর বিশেষজ্ঞ মাইকেল রায়ান বলেন, “এই মুহূর্তে প্রায় তিন সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। ভারতবর্ষে সংক্রমিত বেড়েই চলেছে। বিশ্বব্যাপী মহামারীর প্রভাব বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম। ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জনঘনত্ব বেশি। তাই সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। লকডাউনের মত বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় সংক্রমনের গতি কম ছিল। কিন্তু তা শিথিল হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপদ এখন ভারতের সামনে।”

আর এখানেই প্রশ্ন যে, তাহলে কি লকডাউন শিথিল করাই সব থেকে বড় কাল হয়ে দাঁড়াল ভারতবর্ষের? যেভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতবর্ষে করোনায় বিস্ফোরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাতে এই ঘটনা যদি সত্যি হয়, তাহলে আসছে দিন ভারতের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এতদিন ভারতবর্ষ লকডাউন করে যে সাফল্য নিজেদের ঝুলিতে পুরে ছিল, তা এক লহমায় নষ্ট হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!