এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > লকডাউনে সরকারি চাকরির দরজা খুলতেই দূরত্ববিধি শিকেয়! হুলুস্থুলু কাণ্ড উত্তরবঙ্গে, বাড়ছে জল্পনা

লকডাউনে সরকারি চাকরির দরজা খুলতেই দূরত্ববিধি শিকেয়! হুলুস্থুলু কাণ্ড উত্তরবঙ্গে, বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সামাজিক দূরত্ব পালন করবার জন্য লকডাউনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আর সেই লকডাউনের জন্য একদিকে যেমন অর্থনৈতিক রুজি-রুটির টান পড়েছে সাধারণ মানুষের, ঠিক তেমনি ভবিষ্যতে আদৌ কর্মসংস্থানের নতুন দুয়ার খুলবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বেকার যুবক যুবতীরা। আর এই পরিস্থিতিতে বনদপ্তরের অস্থায়ী পদে চাকরির জন্য অফলাইনে দরখাস্ত জমা নেওয়া শুরু হতেই বেকার যুবকদের ভিড় পড়ে গেল। যেখানে সম্পূর্ণরূপে লকডাউন প্রক্রিয়া ও সামাজিক দূরত্ব পালন না করে সেই দরখাস্ত জমা নেওয়ার লাইনে শুরু হয়ে গেল ধস্তাধস্তি।

বস্তুত, রাজ্যজুড়ে বন সহায়কে কয়েক হাজার অস্থায়ী কর্মী নেওয়ার জন্য দরখাস্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। 14 আগস্ট পর্যন্ত এই দরখাস্ত নেওয়া হবে। আর সেই খবর পেয়েই এদিন হাতে হাতে জমা দেওয়ার জন্য আলিপুরদুয়ার শহরের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তার অফিসে রীতিমতো ব্যাপক জনসমাগম হতে দেখা যায়। একে অপরের সঙ্গে গা ঘেষাঘেষি করে দাঁড়িয়ে সেই দরখাস্ত জমা দিতে শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবেই যখন করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে, তখন এভাবে চাকরির পরীক্ষার জন্য দরখাস্ত জমা দেওয়ায় বিন্দুমাত্র সামাজিক দূরত্ব না থাকায় তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

এভাবে যদি চলতে থাকে এবং তার ফলে যদি আরো বেশি করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে, তাহলে তার দায় কে নেবে! তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে লাইনে দাঁড়ানো কালচিনি সুরেশ লাকরা, ফালাকাটার ভবেশ বর্মণরা বলেন, “জানি করোনা সংক্রমণের ভয় আছে। তবুও ভয় উপেক্ষা করে এভাবেই দরখাস্ত জমা দিতে এসেছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কেন প্রশাসন এর জন্য বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করল না? যেখানে করোনা দিনকে দিন বাড়ছে, সেখানে এইভাবে চাকরির পরীক্ষায় দরখাস্ত জমা দেওয়ার জন্য যে ভিড় দেখা গেল, তা মোকাবিলা করলে একদিকে যেমন সকলের সুষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পালন করতে পারতেন, ঠিক তেমনই করোনার সংক্রমিত হওয়ার কোনো ভয় থাকত না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন এত অব্যবস্থা? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা বলেন, “অস্থায়ী পদের জন্য আমরা অনলাইনে দরখাস্ত জমা নিচ্ছি না। চাকরি প্রার্থীদের সামাজিক দূরত্ব বৃ্দ্ধি মানা উচিত।”

এদিকে এই ব্যাপারে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, “জেলায় কতজন নেওয়া হবে তা আমাদের জানা নেই। উপর মহলের নির্দেশেই অফলাইনে দরখাস্ত জমা নেওয়া হচ্ছে।” কিন্তু তারা তো জানতেন যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব পালন করে যদি গোটা পরিস্থিতি সামলানো যেত, তাহলে তো সকলেই আশ্বস্ত হতে পারতেন। সেদিক থেকে এই রকম অব্যবস্থা এখন নানা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে গোটা জেলা জুড়ে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!