এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভোট কাছে আসতেই প্রমান দিয়ে মমতার বঞ্চনার অভিযোগকে খণ্ডন কেন্দ্রের, চর্চা সর্বত্র

ভোট কাছে আসতেই প্রমান দিয়ে মমতার বঞ্চনার অভিযোগকে খণ্ডন কেন্দ্রের, চর্চা সর্বত্র


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যকে তার প্রাপ্ত অর্থ থেকে বঞ্চিত রেখেছে কেন্দ্র। এমন অভিযোগ বারবার করে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লকডাউনের সময় থেকে মুখ্যমন্ত্রী বারবার অভিযোগ করেছেন যে, কেন্দ্র রাজ্যকে কোন সাহায্যই করছে না। এছাড়াও জিএসটির ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যের পাওনা থেকে বঞ্চিত রেখেছে রাজ্যকে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক বার যখন বঞ্চনার অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হলো যে, লকডাউনের সময় গ্রামীণ প্রকল্প খাতে সবচেয়ে অর্থ বেশি পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের পরিসংখ্যান দেখিয়ে সে কথা জানাল কেন্দ্র।

প্রসঙ্গত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ বাংলা রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। ইতিপূর্বে বাম শাসনকালে এরকম অভিযোগ বারবার করেছে বাম সরকার। সেসময় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হতো যে, প্রকল্পে অর্থ খরচের কোন রিপোর্ট দেয় না পশ্চিমবঙ্গ। শুধু ইউপিএ শাসনের প্রথমদিকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা বন্ধ রেখেছিল রাজ্য সরকার। কারণ, সে সময় কেন্দ্র সরকারের জোট সরিক ছিল তৃণমূল। যদিও পরবর্তীকালে জোট থেকে বেরিয়ে এসেছিল তৃণমূল। তবে, গ্রাম উন্নয়ন খাতে সেসময়ও যথেষ্ট অর্থ পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ।

ইউপি জমানায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশের সঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এর যথেষ্ট বন্ধুত্ব ছিল। শোনা যায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ কলকাতায় এলে, হোটেলে তাঁর পাশের ঘর ভাড়া নিতেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেসময় পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়নের জন্য ৮৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। এছাড়া গ্রাম সড়ক প্রকল্পেও বহু অর্থ দিয়েছিল কেন্দ্র।

শোনা যায়, রাজ্যে তৃণমূল সরকারের প্রথম মেয়াদে গ্রামে গ্রামে যে রাস্তা তৈরি হয়েছিল তার বেশির ভাগ হয়েছিল কেন্দ্রের অর্থে। সেসময় এই খাতে ৯০ % অর্থ বরাদ্দ করত কেন্দ্র। এরপর তাতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এখন ৬০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্র, ৪০ % করে রাজ্য। তাই এখন রাজ্যের আর্থিক সংকট থাকায় রাজ্যে সড়ক নির্মাণ প্রকল্প ও সড়ক মেরামতি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হলো যে, লকডাউন এর সময় গ্রামীণ প্রকল্প খাতে পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে বেশি অর্থ পেয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত মার্চ মাসের ২৫ তারিখ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়। গত মার্চ মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ছটি প্রকল্পে, সমস্ত রাজ্যকে মিলিয়ে মোট ৪৯,২৭০ কোটি টাকা কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ভাগে এসেছে ৫৯২৬ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গের পরে আছে বিহারের স্থান। বিহার পেয়েছে ৫২৬৫ কোটি টাকা। তুলনায় বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলি যথেষ্ট কম টাকা পেয়েছে। যেমন যেমন মধ্যপ্রদেশ পেয়েছে ৪৯৭৪ কোটি টাকা, উত্তরপ্রদেশ পেয়েছে ৪৬৩৬ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে ওড়িশা পেয়েছে ৪৫৩৫ কোটি টাকা। রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে কম পেয়েছে গোয়া রাজ্যটি। গোয়া পেয়েছে মাত্র ২.১ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের জনৈক যুগ্মসচিব জানালেন যে, লকডাউন এর কারণে বহু মানুষ সাময়িকভাবে জীবিকা হারিয়েছিলেন। সে কারণে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের মূল লক্ষ্য ছিল গ্রামীণ কর্মসংস্থান। এই কারণে একশ দিনের কাজ প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি আরবান মিশন, ন্যাশনাল সোশ্যাল অ্যাসিসট্যান্স প্রোগ্রাম, ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশন তথা আজীবিকা প্রকল্প এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা খাতে
অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।

এই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে যে, ১০০ দিনের কাজে সবচেয়ে বেশি অর্থ পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ। এই খাতে উত্তরপ্রদেশ পেয়েছে ২৫৯০ কোটি টাকা, অন্ধপ্রদেশ পেয়েছে ১৯৬৩ কোটি টাকা, বিহার পেয়েছে ১৭৪৩ কোটি টাকা। আবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সর্বাধিক পেয়েছে উড়িষ্যা। উড়িষ্যা এই প্রকল্পে পেয়েছে ২৮০৩ কোটি টাকা। তবে, সমস্ত প্রকল্প মিলিয়ে ধরলে মোট বরাদ্দের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি পশ্চিমবঙ্গের এরপর হয়েছে বিহারের স্থান।

সম্প্রতি, বিহারের বিধানসভা নির্বাচন সমাপ্ত হল। এবার পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। অনেকে দাবি করেছেন বিধানসভা নির্বাচনের কারণে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারকে সবচেয়ে বেশি এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি অর্থ দান করা হয়েছে। তবে, নির্বাচনের কারণে রাজ্যগুলিকে বেশি অর্থ দান করা হয়েছে কিনা? সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে, এই পরিসংখ্যান রাজ্যের বঞ্চনার অভিযোগকে অনেকটাই অসার প্রমান করে দিলো বলে বিশ্লেষকদের মতামত।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!