প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আবার রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। নারী নির্যাতন, নারীদের সুরক্ষা বিষয়ে রাজ্য সরকারকে গতকাল তুলোধোনা করেছিলেন তিনি। আজ গরু পাচার কাণ্ড ও কয়লা কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কলকাতা পুলিশকে অভিযুক্ত করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। টুইট করে তিনি জানালেন যে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। প্রসঙ্গত গরু পাচার কান্ড ও কয়লা কাণ্ডে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। শাসকদলের বিরুদ্ধে বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী দলগুলি। আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত এনামুলের কাণ্ডকারখানা ও কয়লা মাফিয়া লালার কাণ্ডকারখানা।আজ সে বিষয়েই রাজ্য সরকারকে অভিযুক্ত করলেন রাজ্যপাল।

আজ রবিবার সকালে সরকারের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এই টুইটগুলোতে রাজ্যপাল গরু পাচার ও কয়লা কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করা টুইটে পুলিশ কর্মীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। তিনি অভিযোগ করেছেন, উর্দিধারী পুলিশেরা এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। এরপর তিনি জানালেন যে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এভাবে পরোক্ষে রাজ্য প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।

প্রসঙ্গত রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা, রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের পুলিশ নিরপেক্ষ নয়, এই অভিযোগ ইতিপূর্বে তিনি করেছিলেন। সেইসঙ্গে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্যও করেছিলেন তিনি। আজ গরু পাচার ও কয়লা কান্ড নিয়ে সরব হলেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে চলতি মাসের প্রথম দিকে বঙ্গ সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন বঙ্গ সফরে এসেছিলেন, ঠিক সেই সময়েই আয়কর দপ্তর আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বেশকিছু কয়লা ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে অভিযান চালায়। এর সঙ্গে সঙ্গেই সিবিআই অভিযান চলে কলকাতায়।

কয়লা কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাজি বা লালা সহ বেশ কিছু ব্যবসায়ীর কলকাতা ও আসানসোলের বাড়িতে ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি ও তথ্য উদ্ধার করেছে আয়কর দপ্তর। এই নথি গুলি দেখে আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন যে, রাজ্যের মধ্যে গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়লা কাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের যোগসাজশ আছে। কয়লা কান্ড ও গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্তরা রাজ্যের বেশকিছু প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে একাধিক বেআইনি কাজকর্ম চালাচ্ছেন। এই ধরনের বেশকিছু অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে সম্প্রতি নোটিশ পাঠালো সিবিআই।

এদিকে সামনে আসতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই ও আয়কর দপ্তরের অতি সক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে ছিলেন যে, লালার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কি সম্পর্ক? কি কারণে লালাকে তিনি বাঁচাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? তা তিনি স্পষ্ট ভাবে বলুন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। বিভিন্ন মহলে চলে আলোচনা। আজ রাজ্য সরকার ও পুলিশকে এই অভিযোগে অভিযুক্ত করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।