এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > মর্মান্তিক! লকডাউনে কাজ হারিয়ে ছেলে আত্মহত্যা করতেই শোকে পাথর বাবাও করলেন আত্মহত্যা!

মর্মান্তিক! লকডাউনে কাজ হারিয়ে ছেলে আত্মহত্যা করতেই শোকে পাথর বাবাও করলেন আত্মহত্যা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারতে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয় জানুয়ারী মাসের শেষের দিকে । তারপর সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় রাজ্যে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কিছু রাজ্যের সরকার । তার কিছুদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার সমগ্র দেশে সিদ্ধান্ত নেয় লকডাউনের । করোনা রোধে লকডাউন ছাড়া সরকারের কাছে আর কোন উপায় ছিল না । এখনো দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে কোথাও আংশিক বা কোথাও পূর্ণ লকডাউন ।

লক ডাউনের ফলে করোনার সংক্রমণ রোধ করা কিছুটা সম্ভব হলেও, বহু মানুষের জীবিকা কেড়ে নিয়েছে এই লকডাউন, বিশেষত দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের । বহু মানুষ তার জীবিকা হারিয়ে পরিণত হয়েছে বেকারে । কাজ হারিয়ে তাদের মধ্যে বাড়ছে মানসিক অবসাদ ও হতাশা । এই হতাশা থেকে কিছু মানুষ বেঁচে নিচ্ছে আত্মহত্যার পথ । এমনি এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষি রইলো নদীয়া জেলার নবদ্বীপ । নবদ্বীপের এক যুবক দীপঙ্কর মালাকার একটি হোটেলে কাজ করতেন । লকডাউনের ফলে তিনি হোটেলের কাজ হারিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কাজ হারানোয় সংসার চালানো তার পক্ষে দুসসহ হয়ে পড়ে । কি করে সংসারের খরচ চালাবেন, বৃদ্ধ মাতা-পিতার ওষুধ, চিকিৎসার খরচ কি করে চালাবেন, এইসব দুশ্চিন্তা থেকেই তিনি মানসিক অবসাদ গ্রস্থ হয়ে পড়েন । মানসিক অবসাদ থেকে শেষপর্যন্ত তিনি আত্মহননের পথ বেঁচে নেন । স্থানীয় সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, আত্মহত্যার চেষ্টায় তিনি তিনদিন আগে বিষ খান । বিষ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তেই তার বাড়ির লোকেরা তাকে নিয়ে যায় নিকট হাসপাতালে । হাসপাতালে দুদিন মৃত্যুর সঙ্গে অসম লড়াই করে শেষ পর্যন্ত শনিবার তিনি মৃত্যুর কাছে হার মানেন ।

দীপঙ্করের মৃত্যুতে একেবারে নির্বাক হয়ে যান তার বৃদ্ধ পিতা । জানা গেছে , ছেলের মৃত্যুতে তাঁকে কাঁদতেও দেখা যায় নি । তিনি একেবারেই চুপ করে যান । তারপর ঘন্টা খানেকের মধ্যেই তার ঘরে পাওয়া যায় তার নিথর ঝুলন্ত দেহ । প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দীপঙ্করের বাবা অনেক কষ্ট করে তাকে বড় করেছিলেন । সংসারে অর্থের আবার থাকলেও, ছিল না আক্ষেপ

। কিন্তু প্রাণাধিক প্রিয় সন্তানের মৃত্যুর আঘাত তিনি কিছুতেই সহ্য করতে পারেন নি, তাই গলায় ফাঁস লাগিয়ে, অবসাদগ্রস্ত ছেলের মতো তিনিও বেছে নেন আত্মহননের পথ । মারণ ব্যাধি করোনা সংক্রমণ ঘটিয়ে প্রতক্ষ্যভাবে কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের প্রাণ, আর রোজগার কেড়ে নিয়ে পরোক্ষ ভাবে কত মানুষের প্রাণ যে হরণ করবে কে জানে ?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!