লোকসভা ভোটে ফল খারাপের দায় কাউন্সিলরদেরও, দাবি দলের একাংশেরই কলকাতা রাজ্য June 3, 2019 এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূলের অনেকটাই ভরাডুবি হয়েছে। গতবার তারা 34 টা আসন পেলেও এবার তাদের দখলে এসেছে 22 টি আসন। অন্যদিকে বিজেপি 2 টি থেকে বাড়িয়ে তাদের আসন সংখ্যা 18 টি করে নিয়েছে। আর রাজ্যে বিজেপির এই প্রবল উত্থানে এখন রীতিমতো আতঙ্কের ছাপ পড়েছে তৃণমূল নেতাদের চোখে মুখে। কেননা তৃনমূল যে 22 টি লোকসভা আসনে জিতেছে, সেখানে থাকা পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। যেমন, কুপার্স ক্যাম্পে গত 2017 সালের নির্বাচনে 12 টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রায় সব কটাতে তৃণমূল জিতলেও এবারের লোকসভা নির্বাচনে এখানকার 12 টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রায় 6 টি ওয়ার্ডেই লিড পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু কেন এমনটা হল! দু’বছরের মধ্যেই সাধারণ মানুষের জনাদেশ কেন পাল্টে গেল! এলাকাবাসীদের একাংশ বলছেন, এই কুপার্স ক্যাম্পে কাউন্সিলররাই শেষ কথা। তাই তাদের আচরণ দেখেই সাধারন মানুষ নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন। তবে এখানকার তৃণমূল কাউন্সিলরদের দুর্নীতি এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জেরেই এবারের নির্বাচনে কুপার্স ক্যাম্পের ছটি ওয়ার্ডে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। তবে শুধু তাই নয়, বিগত পুরভোটে এলাকার অনেক মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি বলে এবারে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে তারা বিজেপিকে সমর্থন করেছেন বলে মনে করছে বিশ্লেষকদের একাংশ। কেন এমনটা হল? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে সেই পুরসভার চেয়ারম্যান শিবু পাইন বলেন, “আমাদের এখানে যে উন্নয়ন হয়েছে তার নিরিখে ভোট হয়নি। মানুষ এবারে বিভ্রান্ত হয়ে দিয়েছে।” এদিকে এই প্রসঙ্গে কুপার্স শহর তৃণমূল সভাপতি তথা 11 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু দত্ত বলেন, “আমাদের ভোট বেড়েছে, কিন্তু সিপিএম ও কংগ্রেসের সব ভোট বিজেপির দিকে চলে যাওয়াতেই এই ফলাফল।” তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অবশ্য এই ব্যাপারে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। রানাঘাট পূর্ব ওয়ান এরিয়া কমিটির সিপিএমের সদস্য তথা কুপার্সের বাসিন্দা অশোক চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধেই মানুষ এবার বিজেপিকে ভোট দিয়েছে।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে কুপার্স শহর বিজেপির সভাপতি দীপক দে বলেন, “অনেক কাউন্সিলররা শহরবাসীকে মানুষ বলেই মনে করেন না। তাই এবার সাধারণ মানুষে তার সুযোগ পেয়ে ভোটবাক্সে প্রতিবাদ করেছে।” সব মিলিয়ে পুরসভা তৃণমূলের দখলে থাকলেও লোকসভা ভিত্তিক ফলাফলে সেই কুপার্স ক্যাম্প পুরসভায় বিজেপি এগিয়ে থাকায় প্রবল চিন্তার ভাঁজ শাসকদলের অন্দরে। আপনার মতামত জানান -