প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যখন বিপদের সীমা বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে অসহায়তা, তখনই আত্মবিশ্বাস আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আত্মবিশ্বাসের অভাবের রন্ধ্র পথে মানব মনের মাঝে স্থান করে নেয় অন্ধবিশ্বাস। অলৌকিকতা, অপ্রাকৃত শক্তির উপরে নির্ভর করে মুক্তির পথ খোঁজে মানব মন। সম্প্রতি করোনা মহামারীতে মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত। একে তো সংক্রমনের ভয়, তার উপর অর্থাভাবে ‘ভারে মা ভবানী অবস্থা’। এই অবস্থার মধ্যেও মানুষ বারবার চেষ্টা চালাচ্ছে অদৃশ্য দানব করোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে। আর করোনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আজব উপায় এবারে ভেসে এলো সোশ্যাল মিডিয়ায়।

সম্প্রতি করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে গবেষণা। বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞরা নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন এই অদৃশ্য দানবকে শায়েস্তা করতে। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যেও বেশ কিছু মানুষ করোনা রোধের উপায় হিসেবে কিছু আজব উপায়ের কথা ইতিমধ্যেই বলেছেন। যেমন কাদা মাটিতে বসে শঙ্খ বাজিয়ে করোনা থেকে মুক্তি, কিংবা পাঁপড় খেয়ে নিজের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে বাড়িয়ে করোনা থেকে মুক্তি ইত্যাদি। এবারে এক সংস্থা করোনা থেকে মুক্তির উপায় হিসাবে দশপ্রহরন ধরিনি মা দুর্গার পূজার নিদান দিলো। এক সংস্থা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের একটি ওয়েবসাইট চালু করে তার মাধ্যমে অনলাইনে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থাও করল। এই সংস্থার দাবি দুর্গা মায়ের আশীর্বাদ পেলেই মিলবে করোনা থেকে মুক্তি।

সম্প্রতি শক্তিপীঠ ডিজিটাল নামে ইনস্টাগ্রামে একটি পেজ তৈরি হয়েছে। যা রীতিমতো ঘোরাফেরা করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই পেজের নির্মাণকারী সংস্থা তাদের পেজের মাধ্যমে করোনা মুক্তির উপায় এর কথা তুলে ধরেছে। তাদের পেজে বলা হয়েছে, করোনা থেকে মুক্তি লাভের জন্য মা দুর্গার পূজা করতে। তারা দাবি করেছে, এই পুজো করলে করোনার হাত থেকে রক্ষা করবে মা দুর্গা। এই পূজাতে নির্মূল হবে দুশ্চিন্তা, আসবে প্রশান্তি। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ” দুর্গা শক্তিপীঠ মায়ের অত্যন্ত শক্তিশালী পুজো। মানুষকে শক্তি ও মুক্তি প্রদান করে এই পুজো। মহামারী থেকে খোদ মা নিজের ভক্তদের রক্ষা করবে। অশুভ শক্তি দূর করতে মায়ের প্রার্থনা করো।”

তাদের এই সংস্থার মাধ্যমে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা যেমন করা হয়েছে, সেইসঙ্গে জানিয়ে দেয়া হয়েছে পুজোর খরচও। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে ২১০০ টাকার সঙ্গে ১৮% জিএসটি যোগ করে যে অর্থ হবে সেই অর্থ দিলেই মায়ের পুজো করা যাবে। তারা আরও দাবি করেছেন যে, এই পুজো করলে শুধু যে করোনার ভয় দূর হবে তা নয়, এই পুজোয় সংসারের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে, জীবনের সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর হবে। এদিকে আবার সামনেই আছে মহালয়া। তাই অনলাইনের মাধ্যমে পিতৃপুরুষের তর্পনের ব্যবস্থাও করেছে এই সংস্থা।