মহুয়ার প্রথম দিনের ভাষণ নিয়ে বিতর্ক, ভাষণ টুকেছেন – এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ সংসদের বিরুদ্ধে কলকাতা জাতীয় রাজ্য July 3, 2019 সংসদে তাঁর প্রথম ভাষণেই গোটা দেশের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।তাঁর ঝরঝরে ইংরেজি, প্রতিবাদী বাচনভঙ্গী ও ঝাঁঝালো বক্তব্য আগ্রহ ছড়িয়েছে প্রায় সব মহলের মধ্যেই। বিশেষ করে যুবসমাজের একাংশ তাঁর এই ‘প্রাথমিক ফ্যাসিবাদের ৭টি লক্ষণ ‘ বিষয়ক ভাষণকে বছরের শ্রেষ্ঠ বক্তব্যের তকমা দিতেও কসুর করছেনা।কিন্তু দিন কয়েক কাটতে না-কাটতেই তাঁর ভাষণ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ, একটি মার্কিন প্রকাশনা থেকে বেমালুম ভাষণ টুকেছেন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু স্বীকার করেননি কৃতজ্ঞতা। অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে মহুয়াদেবী যেভাবে “ফ্যাসিবাদের ৭ টি লক্ষণ” এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং সেগুলির সঙ্গে মোদি সরকারের সম্পর্ক বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তা তাঁর মৌলিক ভাবনা নয়। প্রকৃতপক্ষে এটি ওয়াশিংটন মান্থলি নামের একটি পত্রিকায় ২০১৭ সালের ৩১শে জানুয়ারী প্রকাশিত মার্কিন সাংবাদিক মার্টিন লংম্যানের একটি আর্টিকেল “ফ্যাসিবাদের প্রাথমিক সতর্কতা”থেকে হুবহু তুলে নেওয়া অংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - Zee News-এর এডিটর ইন চিফ সুধীর চৌধুরী সম্প্রতি মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য নিয়ে একটি টুইট করেছেন।এই টুইটটিতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিনে প্রকাশিত আসল নথি ও মহুয়া মৈত্রের ভাষণ পাশাপাশি । তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সালের ওয়াশিংটন মান্থলিতে প্রকাশিত ‘ওয়ার্নিং সাইনস অফ ফ্যাসিজম’ শীর্ষক প্রতিবেদনের বেশ কয়েকটি পংক্তি হুবহু তাঁর ভাষণে ব্যবহার করেছেন মহুয়া। সুধীর চৌধুরী দেখিয়েছেন, মার্টিন লংম্যানের আসল প্রতিবেদনটিতে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র’-এর জায়গায় ভারত ও ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’-এর বদলে নরেন্দ্র মোদীর নাম বসিয়ে সেটি সংসদে পাঠ করেছেন মহুয়া।আর আসল প্রতিবেদনে ফ্যাসিবাদের ১২টি লক্ষণের উল্লেখ থাকলেও মহুয়া ব্যবহার করেছেন ৬টি। তাঁর অভিযোগ অন্যের সৃষ্টিকে কোনো স্বীকৃতি না দিয়ে পার্লামেন্টে অনৈতিক ভাবে ব্যবহার করেছেন মহুয়া। ড. বিজয় চৌথাইওয়াল, যিনি ভারতীয় জনতা পার্টির পররাষ্ট্র বিষয়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন তাঁর মতে তৃণমূল সংসদের এই কীর্তি একরকম চুরি ছাড়া আর কিছু না।নজরকাড়া বক্তৃতার পর এই বিষয়গুলি সামনে উঠে আসায় অনেকেরই অভিযোগ মহুয়া মৈত্র একজন সাংসদ হিসেবে যা করেছেন তা ভারতীয় গণতন্ত্রের পীঠস্থান সংসদের পক্ষে অমর্যাদাকর। আপনার মতামত জানান -