এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মাঝরাতে জেলের ভাত নিশ্চিত হতেই মদনের মুখে তীব্র হাহাকার – আমরাই খারাপ, আর ওরা সব ভালো!

মাঝরাতে জেলের ভাত নিশ্চিত হতেই মদনের মুখে তীব্র হাহাকার – আমরাই খারাপ, আর ওরা সব ভালো!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুধু আত্মপক্ষ সমর্থন নয়, গ্রেফতার হওয়ার পর সতীর্থদের সকলকে একসাথে বেঁধে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সামনে মুখ খুলতে দেখা গেল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম জেলযাত্রা হলেও, মদন মিত্র এর আগেই অভিজ্ঞতা সেরে রেখেছেন। কিন্তু মন্ত্রী থাকার সময় তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর সবেমাত্র যখন তার কপাল খুলতে শুরু করেছিল, তখনই আবার সিবিআই সক্রিয়।

যার জেরে সোমবার নারদ কান্ডে গ্রেফতার হতে হয় মদন মিত্র সহ তৃণমূলের দুই মন্ত্রী এবং রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্রীকে। এদিকে তৃণমূলের এই সমস্ত হেভিওয়েট নেতা এবং মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হতে না হতেই রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, নারদ কান্ডে ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকেও‌। সেক্ষেত্রে তাদেরকে কোনো ছাড় দেওয়া হল? প্রথমে সন্ধ্যে নাগাদ খবর পাওয়া যায় চার নেতার জামিন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আসে বিষাদের সুর।

হাইকোর্টের রায়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, ব্যাঙ্কশাল আদালতের পক্ষ থেকে জামিনের ব্যাপারে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার স্থগিতাদেশ জারি করা হল। আর তারপরেই প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য শুরু হয় সব রকমের প্রস্তুতি। আর প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হতেই রীতিমত হাহাকার কন্ঠ শোনা যায় মদন মিত্রের। কিছুদিন আগেই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। শরীরটা খুব একটা ভালো নেই তার।

আর তার মাঝেই তার এই জেলযাত্রা অনুগামীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এদিকে রাজ্যজুড়ে যখন শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়কে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তখনই প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার সময় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা গেল কামারহাটি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে। “ওরা ভালো, আমরাই খারাপ” সংক্ষিপ্ত এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে কি বোঝাতে চাইলেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট বিধায়ক? এখন তা নিয়েই জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশের পর সোমবার রাত একটার সময় প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর সেই সময় বাইরে বেরিয়ে কার্যত হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় মদন মিত্রকে। তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত। সেই অবস্থাতে আমার বাড়িতে ঢুকে পড়ে সিবিআই। বলার কিছু নেই। মানুষ সব দেখছেন। আমরাই খারাপ, ওরাই ভালো।” আর তৃণমূল বিধায়ক কি বর্তমানে বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করলেন?

তিনি কি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, আইন এক্ষেত্রে আলাদা হয়েছে। কেননা ভিডিও ফুটেজে মুকুল রায়কে যেমন দেখা গিয়েছিল, ঠিক তেমনই দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। যেখানে শুভেন্দুবাবু টাকা নিচ্ছেন বলে ভিডিওতে নজরে এসেছিল। আর এই পরিস্থিতিতে কেন তারা গ্রেফতার হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর যখন তাকে শ্রীঘরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই “আমরাই খারাপ, ওরাই ভালো” বলে কী বোঝাতে চাইলেন মদন মিত্র! এখন তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বুধবার পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি জেলেই থাকতে হবে চার হেভিওয়েটকে। এর আগেও সারদাকাণ্ডে দীর্ঘদিন শ্রীঘরে থাকতে হয়েছে মদন মিত্রকে। আর এবার আবারও গ্রেফতার হতে হল তাকে। আর বিধায়ক হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই মদন মিত্রের এই দশা মেনে নিতে পারছেন না তার অনুগামীরা। আর এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার সময় মদন মিত্রের হতাশাজনক উক্তি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!