গত লোকসভা নির্বাচনে (২০১৪) মালদহের দু’টি আসনেই এবং বিধানসভা নির্বাচনেও (২০১৬)১২টি আসনের সব ক’টিতে চুড়ান্ত পরাজিত হয় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।কারণ হিসাবে উঠে এসেছিলো জেলার নানা প্রান্তেই দলীয় অর্ন্তদ্বন্দ। এর কারণ হিসাবে তবে কৃষ্ণেন্দু-সাবিত্রী ঝগড়া-কেই প্রাধান্য দিয়েছিলো দলের একাংশ।সামনেই আবার পঞ্চায়েত ভোট আর সেখানে সেই দ্বন্দ্ব এখনো পুরোপুরি না পুরোপুরি মেটার আগেই নতুন করে  আবার দ্বন্দে নেমেছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু ও পুরপ্রধান নীহার রঞ্জন ঘোষ। কৃষ্ণেন্দুবাবুর সঙ্গে বিধায়ক তথা পুরপ্রধান নীহার রঞ্জন ঘোষের মতবিরোধ ক্রমশ দলীয় সংগঠনের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরী করছে।এখন কৃষ্ণেন্দুবাবুর সঙ্গে বিধায়ক তথা পুরপ্রধান নীহাররঞ্জনবাবুর ঝগড়া জেলার রাজনীতিতে জোর চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।এদিকে আবার সেই ঝগড়ার ফায়দা তুলতে পুরোদমে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। পিছু হটছে না কংগ্রেস সিপিআইএম ও। ফলে সামনের পঞ্চায়েতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে শাসকদল। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পর্কে দলের নিম্নস্তরের কর্মীদের মতে , “মালদহে দলের নেতৃত্বরা বদলালেন না। দ্বন্দ্ব যদি না মেটে তবে এ বারের পঞ্চায়েতেও ফের একই ফলাফলের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।” দলীয় দ্বন্দ কার্যতই অস্বীকার করে দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বললেন, “এক সংসারে পাঁচ ভাই থাকলে ঠোকাঠুকি একটি-আধটু হতেই পারে। কিন্তু সেটা নিজেরাই বসে মেটানো যায়। পঞ্চায়েতে ভাল ফলই হবে।’’