প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িতে তল্লাশি হবে – জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা জাতীয় রাজ্য May 13, 2019 কিছুদিন আগেই ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। আর এই ঘটনায় শাসকদলের চক্রান্তের অভিযোগের কথা তুলে ধরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। পাশাপাশি ভারতী ঘোষের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, একজন ব্যক্তি তার নিজের কাছে 50 হাজার টাকা রাখতে পারে। তার গাড়িতে চারজন ব্যাক্তি ছিল। এক লক্ষর বেশি কিছু টাকা পাওয়া গেছে। তাহলে তাতে অন্যায় কোথায়? আর বিজেপি প্রার্থীর এই যুক্তিতে কিছুটা হলেও সমর্থন জানাতে দেখা গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশকে। তবে প্রায় প্রতিটা নির্বাচনী জনসভা থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা যাচ্ছে তৃনমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এবার প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িতেও তল্লাশি চালাবে রাজ্য প্রশাসন বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, এদিন হাড়োয়ার নির্বাচনী জনসভা থেকে বিধাননগরের কমিশনারের অফিসারকে বদল করা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিধাননগরের কমিশনার, কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে কেন বদল করা হচ্ছে! আসলে কলকাতায় হাওলা হলে বিজেপিকে যাতে কেউ ধরতে না পারে, আর এয়ারপোর্টে টাকার বাক্স নিয়ে নামলে যাতে ধরতে না পারে!” আর এরপরই গাড়ি তল্লাশির দাবি জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রয়োজনে আমার নিজের গাড়ি তল্লাশি করুন রাজ্য প্রশাসন। পাশাপাশি পুলিশ যদি মনে করে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িও তল্লাশি করুন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিরোধীদের দাবি যে খুব ভালো করছেন পুলিশ সবার গাড়ি তল্লাশি করছে।সে যেই হোক না কেন? কিন্তু শুধুমন্ত্র বিরোধী দলের নেতা মন্ত্রীদের কেন গাড়ি তল্লাশি হবে,কেন তৃণমূলের কোনো নেতা মন্ত্রী বা ভাইপো, কিংবা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর এরই তল্লাশি হবে না কেন? তাঁরা কি আইনের বাইরে ? যদিও তৃণমূলের দাবি মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রের পূজারী তাই গণতন্ত্রকে বাঁচাতে যা করার তাই করছেন। বিজেপি সত্যি টাকা পাচার করছে তাই ভয় পাচ্ছে। তৃণমূলের কোনো নেতা নেত্রী এসব অনৈতিক কাজ করে না। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের রক্ত বইছে ,মুখমন্ত্রী পিসি হলেও তিনি মায়েরই সমান, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায়,আদর্শে তিনি বড় হয়েছেন তাই তিনি এসব অন্যায় কাজ করেন না যে তাঁর গাড়িতে তল্লাশি করতে হবে। আর মুখানমন্ত্রী সততার প্রতীক তাই তাঁর দিকে আঙ্গুল তোলা মানে বাংলাকে অপমান করা। আর তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরই সমালোচক মহলের একাংশ বলেছেন, যদি কোনো রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান নির্বাচনের মরসুমে দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য করতে থাকেন তাহলে তা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। কেননা একটা অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোনোওদিনও প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি তল্লাশি করার নিদান দিতে পারেন না। আর নির্বাচনী জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি তল্লাশি করার কথা বলে সমস্ত শিষ্টাচারের উর্ধে চলে গেলেন বলে এই গোটা ঘটনার সমালোচনা করতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির। আপনার মতামত জানান -