এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > “মমতা দিদি কা এ ডর আচ্ছা হ্যায়” মমতার অস্বস্তি বাড়িয়ে দাবি যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যর!

“মমতা দিদি কা এ ডর আচ্ছা হ্যায়” মমতার অস্বস্তি বাড়িয়ে দাবি যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যর!


বিজেপির নবান্ন অভিযানে অনুমতি না দেওয়ার কড়া সমালোচনা করলেন যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য। এদিন তিনি বলেন, দুই-তিনদিন আগে মমতা দিদি এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন কলকাতায়। মিছিল করেছিলেন নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। এই একই আইন কেন তাঁর বিরুদ্ধে প্রযোজ্য হবে না। গণতন্ত্রে কীভাবে দুই আইন থাকে জানতে চান তেজস্বী! রাজ্যে ফ্যাসিস্ট সরকার চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি এদিন দাবি করেন রাজ্যে এই সরকার ক্ষমতার আসার পর থেকে রাজ্যে উন্নয়ন হয়নি, শিল্প হয়নি। আর এরপরেই আর নবান্ন বন্ধে সরকারি নির্দেশিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দাবি করেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন । তিনি আরও বলেন, মমতা দিদি কা এ ডর আচ্ছা হ্যায়।তিনি এদিন দাবি করেন যে, সরকারের বাধা সত্ত্বেও তাদের কর্মসূচি সফল হবে। অন্তত ৫০ হাজার যুবক তাদের এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন,কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে লাঠি খেতে তিনি কলকাতায় এসেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিরাট সদস্য নিয়ে নবান্ন অভিযান এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি। কলকাতার চারদিক থেকে চারটি মিছিল নবান্নের দিকে রওনা হবে। বিজেপির অনুমান এই ৪ মিছিল মিলিয়ে অন্তত ৫ লক্ষ লোকের জমায়েত হবে কাল। নবান্ন অভিযান উপলক্ষে বেশকিছু বিজেপি সদস্য ইতিমধ্যেই উপস্থিত হয়েছেন বিজেপি দফতরে। মঞ্চ প্রস্তুত করে তাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু গতকাল এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। নবান্ন বন্ধ রেখে আজ ও আগামীকাল নবান্ন স্যানিটাইজেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ত দপ্তর। পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। তবে পূর্ত দপ্তর জানিয়েছে, এর সঙ্গে বিজেপির নবান্ন অভিযানের কোন সম্পর্ক নেই। সাধারণত প্রতি সপ্তাহের শনিবার ও রবিবার সরকারি ছুটির দিনে নবান্ন স্যানিটাইজেশনের কাজ হয়। তবে একদম প্রথমদিকে দু, একবার বৃহস্পতি, শুক্রবার এই কাজ হয়েছিল। এ সপ্তাহে বৃহস্পতি ও শুক্রবার এ কাজ হওয়া নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছিলেন, ” আগামিকাল চারটি মিছিল বের হবে। রাজ্য দফতর থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন দিলীপ ঘোষ। হেস্টিংস থেকে শুরু হওয়া মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়। হাওড়া ময়দান থেকে আসা মিছিলের নেতৃত্ব দেব আমি ও যুব মোর্চার অন্য কর্তারা এবং হাওড়ার সাঁতরাগাছি থেকে আসা অন্য মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। পাশাপাশি, এই মিছিলে থাকতে পারেন যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য।”

তবে বিজেপির এই যাত্রা রুখতে সবপ্রকার ব্যাবস্থা নিচ্ছে রাজ্য পুলিশ। লালবাজার পুলিশ সূত্রের খবর, বিজেপির সদর দপ্তর থেকে যাত্রা করা মিছিলটিকে ধর্মতলার পর রুদ্ধ করবে কলকাতা পুলিশ। ব্যারিকেড করে দেওয়া হবে। সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে জলকামান, টিয়ার গ্যাসের। আবার কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তবে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য এম্বুলেন্স এর ব্যবস্থাও থাকবে। আবার নবান্নের সামনে সাদা পোশাকের পুলিশ পাহারা দেবে।

এ প্রসঙ্গে রসিকতা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ” কী বলব এটা, নবান্ন পরের বছর বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ভয়ে আগে থেকেই নবান্ন বন্ধ করে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!