এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ যাত্রা শুরু! করোনা আবহে বিস্ফোরক দাবি হেভিওয়েট বিজেপি নেতার

এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ যাত্রা শুরু! করোনা আবহে বিস্ফোরক দাবি হেভিওয়েট বিজেপি নেতার


বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলগুলিকে। এবার আবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একজোট হতে চলেছে দেশের বিরোধী দলগুলি বলে জানা গেছে। আগামী শুক্রবার কেন্দ্রের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে দেশের বিভিন্ন বিরোধী দল। এই বিরোধীদল বৈঠকের নেতৃত্বে রয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। উপরন্তু, শুক্রবার এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

খুব স্বাভাবিকভাবেই এই বৈঠক এই মুহূর্তে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতিতে এ ধরনের বিরোধীদের বৈঠক রীতিমতন হাস্যরসের দ্বারা কটাক্ষ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা জানান, দেশের করোনা পরিস্থিতি যখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে এবং দেশের অর্থনীতি আবারও একগুচ্ছ প্যাকেজের অধীনে শিরদাঁড়া খাড়া করে দাঁড়াতে চলেছে, ঠিক সেইসময় বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে বরাবরের মতো এবারেও বিরোধীরা যে চরম অসফল হবেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। অন্যদিকে রাহুল সিনহা এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এই মুহূর্তে বাংলায় নিজেদের অস্তিত্ব বাড়ানোর জন্যই অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে যোগ দিতে চলেছে। রাহুল এ ব্যাপারে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিরোধী সভার কথা উল্লেখ করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে রাহুল সিনহা আরো বলেন, দেশে বিরোধীদের অবস্থা রীতিমতন কোণঠাসা। সেই কারণেই সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি করার জন্য তাঁরা নিজেদের মধ্যে জোটবদ্ধ হবার রাস্তা খুঁজে চলেছে। উপরন্তু করোনা আবহেই এই বৈঠক নিয়ে রাহুল সিনহা কটাক্ষ করে বলেন, “বাকি বিরোধীদের শেষ যাত্রা আগেই হয়ে গিয়েছে, এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ যাত্রা শুরু।” তিনি আরও বলেন, এই যাত্রা কোনোভাবেই কোনো বিরোধী ঐক্য দিয়ে আটকানো যাবে না। তিনি আরও দাবি করেন, দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রয়েছে সে প্রমাণ 2019 এ পাওয়া গিয়েছে।

পাল্টা রাহুলবাবু আরও বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতিতে মোকাবিলার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন, তা ইতিমধ্যে দেশসহ সারা বিশ্বে প্রশংসিত। আপাতত বোঝাই যাচ্ছে বিরোধীদের ডাকা বৈঠককে তীব্র আক্রমণ করতে ময়দানে নেমে পড়েছেন বিজেপির বিভিন্ন নেতারা। অন্যদিকে রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। এর আগেও করোনা পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।

প্রসঙ্গত, করোনা যখন প্রথম বাংলার বুকে থাবা বসায় তখন, দলমত নির্বিশেষে সকলকেই দেখা গিয়েছিল এক ছাতার তলায় এসে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে। কিন্তু, দিন যতই গড়িয়েছে ততই বদলে গেছে সেই চিত্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারের উপর বিভিন্ন অভিযোগে কার্যত ঝড় তুলেছেন বিরোধী নেতারা। আর সেই বিরোধিতায় সবার আগে ছিল বিজেপি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন ২০২১-এর নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, বিজেপির সেই চাপ তৃণমূলের উপর তত বাড়বে। আর এদিন রাহুল সিনহা তারই অঙ্গ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমনের রাস্তায় হাঁটলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!