এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বহরমপুরে কংগ্রেসের সংঠনও তৈরী করেছেন তিনিই, বিস্ফোরক দাবি মমতা ব্যানার্জির

বহরমপুরে কংগ্রেসের সংঠনও তৈরী করেছেন তিনিই, বিস্ফোরক দাবি মমতা ব্যানার্জির


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের তথা তাদের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য বাংলা থেকে ৪২ এ ৪২ করে দিল্লিতে দেশের পরবর্তী কেন্দ্র সরকার গঠনে বড়সড় ভূমিকা নেওয়ার। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা অবশ্য আরও একধাপ এগিয়ে তাঁদের প্রিয় ‘দিদিকে’ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে দেখতে চান! কিন্তু, এই ৪২ এ ৪২ করতে গেলে যে আসনে তৃণমূল নেত্রীকে সবথেকে বড় বাধার সম্মুখীন হতে হবে তার নাম নিঃসন্দেহে – বহরমপুর।

একদা আরএসপির গড় বলে পরিচিত ছিল সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলার এই আসন। পরবর্তীকালে অধীর চৌধুরীর রাজনৈতিক গুরু অতীশ সিনহার হাত ধরে ১৯৮৪ সালে একবারের জন্য কংগ্রেসের হাতে আসে। কিন্তু তারপরেই আবার – প্রথমে ননী ভট্টাচার্য্য ও প্রমথেশ মুখার্জির হাত ধরে তা ফিরে যায় আরএসপির হাতে। কংগ্রেস এখানে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মত হেভিওয়েটকে দাঁড় করিয়েও দাঁত ফোটাতে পারে নি। কিন্তু, ১৯৯৯ সাল থেকে এই কেন্দ্রে অধীর চৌধুরী কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়াতেই কার্যত সব সমীকরণ উল্টে যায়! ১৯৯৯ থেকে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের টানা ৪ বারের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এখনও, এই অঞ্চলে কংগ্রেসের প্রতীকের থেকেও অধীর চৌধুরীর ‘রবিনহুড’ ভাবমূর্তিতে সাধারণ মানুষের অনেক বেশি আস্থা। কিন্তু, সেই বহরমপুরে কংগ্রেসের সংগঠন নাকি অধীর চৌধুরীর তৈরিই নয়! তা তৈরী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! দলীয় প্রার্থী প্রচারে এক জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান – বহরমপুরে কংগ্ৰেস আমি তৈরি করি, তখন যুব কংগ্রেস করতাম, মান্নান হোসেনরা খুব ভালবাসতেন। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, এই সংগঠন যদি তাঁর হাতেই তৈরী হয়ে থাকে, তাহলে এখনও মুর্শিদাবাদ জেলায় সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারে নি কেন তাঁর দল?

গত ২০১৪-এর লোকসভা হোক বা ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচন – মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে তৃণমূলের পারফরম্যান্স ছিল ‘ভয়াবহ’! আর এই প্রশ্ন উঠতে পারে জেনেই, কতকটা কৈফিয়ত দেওয়ার ঢঙে তৃণমূল নেত্রী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করার পর ২২ দিনের মধ্যে ভোট করাতে হয়। প্রতীক পেতে দেরি হয়ে গিয়েছিল – সে কারণে মালদহ, মুর্শিদাবাদে পিছিয়ে পড়েছিলাম। এখন আবার পুরনো ছেলেরা ফিরে এসেছে দেখে ভালো লাগছে, এবার দুই জেলায় সব আসন পাব! তৃণমূল নেত্রীর এই দাবি কতটা মান্যতা পায় তা জানার জন্য অবশ্য ২৩ শে মে পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!