ফের তৃণমূলকে বড় ধাক্কা দিয়ে মুকুল অর্জুনের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ হেভিওয়েট নেতা সমেত হাজার কর্মীদের কলকাতা রাজ্য April 20, 2019 রাজ্যে প্রথম দুদফার ভোট শেষ, বাকি দফার ভোট গ্রহণ শেষ হতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। আর এই কটা দিন নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে প্রচার পর্ব সারছেন প্রার্থী সমেত দলীয় নেতা কর্মীরা। এক মুহূর্তও নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই। আর সেই মতো রাজ্যে যেমন প্রচার পর্বে বিরোধীদের কড়া আক্রমণ জানাচ্ছেন রাজ্যের শাসকদলের নেতা নেত্রী সমেত মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক তেমনি বিরোধীরাও পিছিয়ে নেই – তাঁরাও তীব্র কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। ফলে বাক যুদ্ধে একদিকে যেমন প্রচার মঞ্চ জমজমাট হয়ে উঠেছে অন্যদিকে কিন্তু চলছে দলবদলের খেলা। রাজ্যে শাসকদল ক্ষমতা দেখতে বিরোধী দল থেকে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের যোগদান চলছে। অন্যদিকে বিরোধীরাও নিজেদের শক্তি দেখতে তৃণমূলের ঘর ভাঙছে। আর এই দুইয়ের নিরিখে জমে উঠেছে লোকসভা ভোট। মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং। আর তার পর থেকেই দাবি করছেন যে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা বিজেপিতে আসার জন্য মুখিয়ে আছেন। অনেকেই নাকি বিজেপির সাথে যোগাযোগ করছেন। আর লোকসভা ভোটের পর বাঁধ ভাঙার মতো ভেঙে পড়বে তৃণমূল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কয়েকদিন আগেই অর্জুন গড়ে তৃণমূলের ঘর ভেঙে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কয়েক শো কর্মী সমর্থক। আর এদিন ফের তৃণমূলে ভাঙ্গর ধরিয়ে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের হালিশহর, বীজপুরের একাধিক নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে। জানা যাচ্ছে যে এদিন হালিশহর পুরসভা ভাইস চেয়ারম্যান রাজা দত্ত , যুব তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত দাস, সমেত প্রায় হাজার খানেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। এদিন মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর ও অর্জুন সিং এর হাত ধরে এনারা গেরুয়া শিবিরের পতাকা নিজেদের হাতে তুলে নেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েই পদত্যাগী ভাইস চেয়ারম্যানের অভিযোগ, তৃণমূলে থেকে রাজনৈতিক সম্মান পাননি। তাই বিজেপিতে যোগ দিলেন। সাথেই তিনি দাবি করেছেন যে আগামী দিনে পুরসভার নানা দুর্নীতি সামনে আসবে। তবে কে তা আনবে তিনি নাকি অন্য কেউ তা তিনি জানান নি। দলত্যাগী কর্মী সমর্থকদের দাবি তৃণমূল নেতাদের প্রতি তাঁরা শ্রদ্ধা রাখতে পারছেন না বা ভরসাও নেই , কেননা কোনও কর্মী বিপদে পড়লে কোনো নেতা এগিয়ে আসেন না একমাত্র অর্জুন সিং ছাড়া। তাই অর্জুন সিং যেখানে তারাও সেখানে। আর এটা সব তৃণমূল কর্মী বুঝে গেছে তাই আগামীদিনে সবাই বিজেপিতে আসবে আর তাই কাঁচরাপাড়া-বীজপুরে তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না। যদিও এই নিয়ে এখনো কোনো পতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আপনার মতামত জানান -