সরকারি কর্মীদের জন্য বড়সড় সুখবর, বাড়ছে মাইনে, মমতার নতুন পদক্ষেপে খুশির হাওয়া কলকাতা রাজ্য July 7, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ভয়াবহ দুর্যোগ এবং করোনা ভাইরাসকে কাটাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিয়ে নানা মহলে আশঙ্কার বাতাবরণ দেখা দিয়েছিল। একদিকে রাজ্যের কোষাগার শূন্য বলে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়শই দাবি করেন, সেখানে করোনা পরিস্থিতি এবং দুর্যোগ পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে সরকারি কর্মচারীরা সঠিক সময়ে বেতন পাবেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল আশঙ্কা। তবে বরাবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়ে এসেছেন, দরকার হলে নুন ভাত খেয়ে বেঁচে থাকবেন সকলে। কিন্তু কারও বেতন কাটা হবে না। তবে বেতন না কাটা হলেও, সরকারি কর্মচারীদের বেতন যে বাড়বে না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল প্রত্যেকেই। কিন্তু সকলের সেই নিশ্চয়তার মেঘকে কাটিয়ে দিয়ে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বহাল রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।যা সরকারি কর্মচারীদের মহলে ব্যাপক খুশির হাওয়া তৈরি করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছর জুলাই মাসে সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতনের 3 শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট হয়। কিন্তু করোনা এবং দুর্যোগ পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে রাজ্য সরকার এবার তা করতে পারবে না বলেই মনে করা হয়েছিল।কিন্তু এবারেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না বলে জানা গেছে। ফলে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির যে রেওয়াজ রাজ্যে রয়েছে, তা যে এবারও হচ্ছে, তা কার্যত নিশ্চিত। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা যায়, চলতি বছরের শুরুতেই ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা হয়েছে। ফলে গত জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু ইনক্রিমেন্ট পদ্ধতির জন্য যে নিয়ম রয়েছে, তাতে অর্থ দপ্তর নতুন করে কোনো নির্দেশ জারি করে না। তাই এবার বেতন বৃদ্ধি না হওয়া এবং এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দেশ জারি না হওয়ায় সেই ইনক্রিমেন্টের পদ্ধতি বহাল রয়েছে বলেই মনে করছে একাংশ। তবে মূল বেতন বাড়লেও ডিএ বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাজার দুর্যোগ এবং প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই সিদ্ধান্ত সরকারি কর্মচারী মহলে খুশির হাওয়া এনে দিল। বিগত লোকসভা নির্বাচনে সরকারি কর্মচারীদের ভোটব্যাঙ্ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে যায়নি। ফলে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল রাজ্যের শাসক দল। তাই এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগের সময় সরকারি কর্মচারীদের মুখে হাসি ফোটাতে তার সরকার যে বদ্ধপরিকর, তা এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়েই প্রমান করার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন এর ফলে সরকারি কর্মচারী মহলে খুশির হাওয়া কতটা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়, তার দিকেই নজর থাকবে। আপনার মতামত জানান -