মমতা চলে যেতেই জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, রাজ্যের পরামর্শ নিতে যাচ্ছেন মৌসম! জোর চাঞ্চল্য! কলকাতা রাজ্য March 10, 2020 মালদহ জেলা নিয়ে যে তিনি সন্তুষ্ট নন, তা সম্প্রতি সেই জেলা সফরে এসে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনো নেতাকে নিয়ে আলাদাভাবে তিনি আলোচনায় বসবেন না, যতদিন না এই জেলায় সমস্যার সমাধান হচ্ছে বলেও মঞ্চ থেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। বেশ কিছু নেতাকে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়ে অবিলম্বে দ্বন্দ্ব মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। অনেকে ভেবেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধমকের পর মালদহ জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমে যাবে। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা ছাড়ার পরেই রীতিমতো দ্বন্দ্ব তৈরি হয় মালদহের মালতীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। কেন এভাবে নেত্রী কড়া বার্তা দেওয়ার পরেও দ্বন্দ্ব মিটছে না, তা নিয়ে এবার রাজ্য নেতৃত্বের পরামর্শ নিতে চাইছে মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা যায়, শনিবার সারা রাজ্যের সঙ্গে মালদহের মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের এই বাংলার গর্ব মমতার কর্মসূচির সূচনা অনুষ্ঠান ছিল। যেখানে এই কর্মসূচির কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন আরএসপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন তৃণমূলের পুরনো দিনের কর্মী-সমর্থকরা। আর দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রীতিমতো এই কর্মসূচিতে আলোচনা হওয়া তো দূর অস্ত, উল্টে চেয়ার ছোড়াছুড়ি হতে দেখা যায়। আর এর ফলেই রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। নেত্রীর কড়া বার্তার পরেও কেন দল এক জায়গায় আসতে পারছে না, কেন এভাবে গোষ্ঠী কোন্দল দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে রীতিমত শংকিত তারা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তৃণমূলের অনেকে বলছেন, মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে যখন এরকম হয়েছে, তখন জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নেতার সঙ্গে বিভিন্ন নেতার দ্বন্দ্ব পৌরসভার আগে বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে এবার মালতিপুরের এই অবস্থা দেখে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব রাজ্যের নির্দেশ চাইছে। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “দোলের পরেই কলকাতায় যাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেকে পাঠিয়েছেন। তিনি নিশ্চয়ই কিছু পরামর্শ দেবেন। মালদহের খুঁটিনাটি দলনেত্রী জানেন। যা নির্দেশ দেওয়ার, তা তিনিই দেবেন। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে নির্দেশ দেবেন, তা সকলকে মানতে হবে।” আর এখানেই একাংশ প্রশ্ন যে, কিছুদিন আগেই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে একত্রিত হওয়ার বার্তা দিয়ে গিয়েছেন। সেখানে তৃণমূল নেত্রী যাওয়ার পরেই তৃণমূলের মেগা কর্মসূচি “বাংলার গর্ব মমতাতে” কেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হল! তাহলে এখন রাজ্য নেতৃত্বের পরামর্শ চেয়ে আগামী দিনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে জেলা নেতৃত্ব কতটা সফলতা পায়, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -