এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অর্থ থেকে পরিকাঠামো – কঠিন সময়েও কেন্দ্র দিচ্ছে না পর্যাপ্ত সাহায্য? ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা

অর্থ থেকে পরিকাঠামো – কঠিন সময়েও কেন্দ্র দিচ্ছে না পর্যাপ্ত সাহায্য? ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা


স্বাভাবিক সময়ে প্রায় প্রতিনিয়তই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কেন্দ্র আর্থিক সাহায্য করছে না বলে রাজনৈতিক সভা হোক বা প্রশাসনিক সভা, প্রতিটি সভা থেকেই অনুযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তবে বর্তমানে গোটা দেশ যখন করোনায় আক্রান্ত, সেই সময়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আর্থিক দিক নিয়ে যেমন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি, ঠিক তেমনই কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর জন্য পর্যাপ্ত পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না বলেও এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পক্ষ থেকে করোনাকে মোকাবিলার জন্য কি কি চাওয়া হয়েছিল, তার তথ্য তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে তিনি বলেন, “11 লক্ষ পিপিই, 7 লক্ষ 92 হাজার এন 95, টু অ্যান্ড থ্রি লেয়ার মাস্ক 4 লক্ষ 20 হাজার এবং চার লক্ষ 36 হাজার চাওয়া হয়েছিল। এছাড়াও 88 হাজার 600 হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং 20 হাজার থার্মাল গান চাওয়া হয়েছিল।” আর এরপরই রাজ্য কেন্দ্রের কাছ থেকে পর্যাপ্ত জিনিস পায়নি বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “মোট 2 লক্ষ 7100 পিপিই দেওয়া হয়েছে। পিপিইর রং ইচ্ছে করে হলুদ করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে 78 হাজার 750 টি n95 মাস্ক দিয়েছে। 5000 হার্মাল গান দিয়েছে। যা প্রয়োজনের থেকে যথেষ্ট কম।” আর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্য সঠিক পরিকাঠামো এবং সাহায্য পাচ্ছে না বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ এখন রীতিমত আলোড়নের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে।

একাংশের দাবি, আসলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সাহায্য করা হচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকার তা স্বীকার করছেন না। যেমন রেশনের চাল থেকে শুরু করে নানা সাহায্য কেন্দ্র থেকে আসলেও রাজ্য তা নিজের নামে চালাচ্ছে। ফলে যার জেরে তৈরি হচ্ছে সমস্যা। আর এবার কেন্দ্র সাহায্য করলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটাকে নগণ্য হিসেবে তুলে ধরে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করছে সমালোচক মহলের একাংশ। তবে বাংলার মানুষ অবশ্য চাইছেন, এই সময় অন্তত রাজনীতিটা বন্ধ হোক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!