এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার মমতাকে ধাক্কা দিয়ে রাহুলকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসাবে দেখতে চান ব্রিগেডে উপস্থিত থাকা এই মুখ্যমন্ত্রী

এবার মমতাকে ধাক্কা দিয়ে রাহুলকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসাবে দেখতে চান ব্রিগেডে উপস্থিত থাকা এই মুখ্যমন্ত্রী


ফের বড় ধাক্কা খেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডে যিনি সবথেকে বেশি মমতাকে সমর্থন করেছিলেন, যিনি ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন যে, ‘দেশের যোগ্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর মধ্যে গোটা দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।’ মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে দাবি করলেন যে,আমরা চাই রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী। আর এর পরেই জোর শোরগোল পরে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে।

এদিন কুমারস্বামী এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেবার সময় জানান যে, ‘‌আমার পক্ষের সিদ্ধান্ত হল আমরা রাহুল গান্ধীকে সমর্থন করব প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে। আর এটাই আমাদের অঙ্গীকার থাকবে। আমার বাবাও এটাই বিশ্বাস করেন।’‌ সাথেই তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে তিনিই তো বলেছিলেন যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যোগ্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী , তবে আবার এখন এ কথা কেন?

তাঁর জবাবে বলেন যে, ‘‌আমি বলেছিলাম আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে অনেক যোগ্য নেতা-নেত্রী আছে। সেখানে মায়াবতী, মমতা ব্যানার্জিও আছেন। কিন্তু আমাদের দলের অঙ্গীকার রাহুল গান্ধীকেই প্রধানমন্ত্রী করা। আমি আত্মবিশ্বাসী রাহুল গান্ধীই নিতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্থান। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাগুজে বাঘ। আর রাহুল গান্ধী পরিণত রাজনীতিবিদ।’‌

আর এই নিয়েই তোলপাড় রাজনৈতিকমহল। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিগেড ডেকেছিলেন বিজেপিকে হটাতে। আর তিনি মুখে জোটের প্রধান মন্ত্রী কে হবেন তা পরে ঠিক হবে বললেও তৃণমূলের তরফ থেকে প্রচার করা হচ্ছে যে, মোদিকে হটাতে মহাজোট হবে, তার নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ,আর জোটের প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই। আর তার জন্য তৃণমূলকে ভোট দিয়ে ৪২ এর ৪২ টি আসন জেতান। আর এই দাবি শুধুমাত্র তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের নয়, এই দাবি করেছেন তৃণমূলের বড় বড় নেতা নেত্রীরা প্রকাশ্য সভায়।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি ব্রিগেডের পরেও তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মহাজোটের নেত্রী হিসাবে মেনে নিয়েছেন প্রায় সব দল, শুধু মহাজোটের নেত্রীই নন, সাথেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চাইছেন অনেকেই। আর কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী তো প্রকাশ্যেই বলেছিলেন ‘দেশের যোগ্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর মধ্যে গোটা দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।’ আর বলবেন নাই বা কেন?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই কর্নাটকে জোট সরকার গড়তে কম ঘাম ঝরান নি, সোনিয়া গান্ধীকে ফোন থেকে শুরু করে কুমারস্বামী, দেবেগৌড়াকে ফোন করা, বিধায়কদের সামলে রাখার কৌশল সবেতেই ছিলেন। কিন্তু এদিন হঠাৎ করে কুমারস্বামীর এহেন পরিবর্তন ঘাসফুল মহলে চিন্তার চাপ ফেলেছে।যদিও তৃণমূলের দাবি যে মহাজোটে যেই নেতৃত্ব দিক না কেন প্রধানমন্ত্রী দিদিই হবেন। কেননা রাহুল নয় দিদিই যোগ্য দাবিদার। এখন যে যাই বলুক না কেন দিদিকেই সভায় প্রধানমন্ত্রী করবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!