এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিধানসভার লক্ষ্যে দুই যুযুধান গোষ্ঠীকে মিলিয়ে দিতে মমতার মাস্টারস্ট্রোক! খুশির হাওয়া তৃণমূলে

বিধানসভার লক্ষ্যে দুই যুযুধান গোষ্ঠীকে মিলিয়ে দিতে মমতার মাস্টারস্ট্রোক! খুশির হাওয়া তৃণমূলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে করোনা পরিস্থিতিতেও শাসক থেকে বিরোধী সব দল নিজের দলের সাংগঠনিক দিককে দৃঢ করার চেষ্টা করছে।ইতিমধ্যে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক কিছু রদবদল করেছেন। উওর দিনাজপুর জেলার তৃনমূলের অন্যতম সদস্য তথা ইসলামপুরের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের আব্দুল করিম চৌধুরীকে দলের রাজ্য কমিটিতে স্থান দিয়েছেন।তাঁকে দলের রাজ্য কমিটিতে সহ সভাপতি পদে জায়গা দেওয়া হয়েছে । তবে ইসলামপুরের রাজনীতিতে করিম-কানাইয়া তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে উপ্তত হতে দেখা যায় বিভিন্ন সময়ে।

প্রসঙ্গত করিম চৌধুরী বলেন,” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগাগোড়া আমাকে ‘করিম দা’ বলে ডাকেন। আমাকে তিনি বরাবরই সম্মান দিয়েছেন। এবারও সম্মান দিয়ে রাজ্য কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। যে উদ্দেশ্যে তিনি আমাকে রাজ্য কমিটিতে স্থান দিয়েছেন, তাঁর সেই বিশ্বাস আমি ভঙ্গ হতে দেব না। দলকে শক্তিশালী করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব। সহ সভাপতি হওয়ার পরে কানাইয়ালাল আগরওয়াল আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমিও তাঁকে বলেছি, সমস্ত কিছু ভুলে এক হয়ে দলের কাজ করতে হবে।”

দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়াবাবু বলেন, “করিম সাহেব রাজ্য কমিটিতে স্থান পেয়েছেন, এটা ভালো হয়েছে। দলে গোষ্ঠী থাকবে না। নেত্রী পরিষ্কার বলে দিয়েছেন দলে গোষ্ঠী করা যাবে না। আমরাও এক হয়ে কাজ করব।” এই ভাবে কানাইয়া ও করম দুই জন যেভাবে একে অপরের সাথে তালে তাল মিলিয়ে কাজ করবে বলে বলছেন। তাতে করে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আপাতত স্বস্তির খবর বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ মনে করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

করিম ঘনিষ্ঠ তথা তাঁর ঘোষিত ইসলামপুর বিধানসভার পর্যবেক্ষক কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা সবাই খুব খুশী। করিম সাহেবের নেতৃত্ব আমরা সবাই তালেতাল মিলিয়ে কাজ করবো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, কানাইয়া ও করিম শিবিরের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের।২০১৬ সালে বিধানসভার নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী কানাইয়া আগরওয়ালের কাছে করিম সাহেব পরাজিত হয়েছিলেন কিন্তু জয়ী কানাইয়া আগারওয়াল কিছু দিন পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। যা করিম সাহেবের মতপুত হয়নি।সেই সময় কার্য দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে যায়।

এরপর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই শিবিরের মধ্যে মাঝে মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেয়েছে। অনেক সময় একই কর্মসূচী দুই শিবির আলাদা আলাদা করে নিতে দেখা গিয়েছে। যা তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন সময়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। তবে শেষ পযন্ত দুই শিবির এক সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে কিনা তা দেখার বিষয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!