এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মতুয়া ভোট ফেরাতে মরিয়া মমতার মাস্টারস্ট্রোক? আস্থা রাখতে পারবেন হেভিওয়েট নেতা? জল্পনা তুঙ্গে

মতুয়া ভোট ফেরাতে মরিয়া মমতার মাস্টারস্ট্রোক? আস্থা রাখতে পারবেন হেভিওয়েট নেতা? জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত লোকসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোট তৃণমূলকে ব্যাপক সমস্যায় ফেলেছিল। মতুয়াদের ভোটে থাবা বসিয়ে বাজিমাত করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সেই মতুয়া ভোটকে নিজেদের দিকে টানতে পদক্ষেপ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জানা গেছে, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রানাঘাট দক্ষিণ, রানাঘাট উত্তর-পূর্ব এবং কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় মতুয়া ভোট অন্যতম ফ্যাক্টর। তাই সেই সমস্ত এলাকার দায়িত্ব রাজ্যসভার সাংসদ অধীর রঞ্জন বিশ্বাসকে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অনেকে বলছেন, আবীরবাবুর মাধ্যমেই এই সমস্ত এলাকার মতুয়াদের মন নিজেদের দিকে টানতে উদ্যোগী হবে তৃণমূল কংগ্রেস। যার কারণে এবার সাংগঠনিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে সেই আবীর রঞ্জন বিশ্বাসের গুরুত্ব অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অতীতে নদীয়া জেলায় দুজন কো অর্ডিনেটর ছিলেন। কিন্তু এবার দক্ষিণের তপশিলি অধ্যুষিত বিধানসভা এলাকায় কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে আবির রঞ্জন বিশ্বাসকে। জানা যায়, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সাংসদ আনন্দমোহন বিশ্বাসের ছেলে এই আবীর রঞ্জন বিশ্বাস। গত 2001 সালে হাসখালি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হলেও পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরবর্তীতে 2003 সালের নবদ্বীপ লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়েও পরাজিত হতে হয় তাকে। তবে 2011 সালে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হিসেবে জয়লাভ করে 2016 সালের বিধানসভা ভোটে আবার হেরে যান তিনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ওপর আস্থা রেখে 2018 সালে তাকে রাজ্যসভার সাংসদ করেন।

কিন্তু এতদিন তেমনভাবে কোনো সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন না আবীরবাবু। তবে মতুয়াদের মধ্যে যেহেতু তার অনেকটাই বিস্তৃতি রয়েছে, তাই তার সাংগঠনিক গুরুত্ব এবার অনেকটাই বাড়িয়ে দিলো তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু যেভাবে মতুয়াদের মধ্যে বিজেপি প্রভাব বিস্তার করেছে, তাতে বিধানসভা ভোটের কিছু মাস আগে তাকে দায়িত্ব দিলেও, তিনি কি তৃণমূলের পক্ষে এই মতুয়া ভোট আনতে পারবেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে আবীররঞ্জন বিশ্বাস বলেন, “মানুষ কেন দূরে সরে গেল, তার কারণ খোঁজা এবং পুরনো কর্মীদের ফিরিয়ে আনাই হবে লক্ষ্য। আর এটা চেনা জায়গা। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে অসুবিধা হবে না।” কিন্তু মুখে বলা যতটা সহজ, কাজ করা ঠিক ততটাই কঠিন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লক্ষ্যে আবীররঞ্জন বিশ্বাসকে জায়গা দিয়েছেন, সেই লক্ষ্য পূরণে তিনি কতটা সক্ষম হন, তা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ভোটবাক্স খোলার পরেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!