এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > মমতা,মোদির ঘুম উড়িয়ে কংগ্রেসের পালে লাগছে হাওয়া,”রবিনহুড” অধীর চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে মহামিছিলে মানুষের ঢল !

মমতা,মোদির ঘুম উড়িয়ে কংগ্রেসের পালে লাগছে হাওয়া,”রবিনহুড” অধীর চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে মহামিছিলে মানুষের ঢল !


বহরমপুরের নিজের গড় সবসময় রক্ষা করতে দেখা গেছে তাকে। শাসক থেকে বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজের মত করে দাপট দেখালেও, নিজের ঘর সামলে রেখেছেন তিনি। তিনি আর কেউ নন। মুর্শিদাবাদের রবিনহুড তথা বর্তমান বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যখন পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা নিয়ে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের মধ্যে দ্বৈরথ চলছে, ঠিক তখনই এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে দেখা যায় অধীর চৌধুরীকে।

আর ভিন রাজ্য থেকে নিজের এলাকায় ফিরে এবার সেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানাতে কংগ্রেসের পতাকা হাতে রাস্তায় নামতে দেখা গেল প্রায় দুশো পরিযায়ী শ্রমিককে। সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলে ভাতারের বামশোর গ্রামের প্রায় 200 শ্রমিক হাত শিবিরের পতাকা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কৃতজ্ঞতা জানান।

আর এই ঘটনা থেকেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল যে, তৃণমূল এবং বিজেপি স্ব স্ব ক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিয়ে দাবি করলেও, অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ওপর এলাকায় ফিরে আসা এই ব্যাপক শ্রমিকরা যে ভরসা রাখতে শুরু করেছেন, তা কার্যত পরিষ্কার। কেন তারা এই মিছিল করছেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে ভিন রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক শ্যামল শেখ, বিদ্যুৎ শেখ বলেন, “আমরা কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলাম। লকডাউনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছিলাম। রাজ্যের সঙ্গে ফোনে, ইমেইলে যোগাযোগ করেও বাড়ি ফেরার দিশা দেখতে পাইনি। তখন এক কংগ্রেস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করি। উনি কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দপ্তরে যোগাযোগ করিয়ে দেন। অধীরবাবুর চেষ্টাতেই আমরা বাড়ি ফিরেছি।” একইভাবে বাড়ি ফেরার ব্যাপারে তৃণমূলের সহযোগিতা না পেয়ে কিছুটা সরব হন টিঙ্কু মল্লিক, পিন্টু মল্লিকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তারা বলেন, “আমরা তৃনমূল পরিবার বলে এলাকায় পরিচিত। কিন্তু বিপদের দিনে পঞ্চায়েত সদস্য থেকে বিধায়ক, কাউকে পাইনি। অথচ অধীরবাবু আমাদের ফেরালেন। কোয়ারেন্টাইন থাকার মেয়াদ শেষ হতেই আমরা কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে মিছিল করে কৃতজ্ঞতা জানালাম।” আর পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজের ঘরে ফিরে যেভাবে মুর্শিদাবাদের রবিনহুড অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানালেন, তাতে তৃণমূল এবং বিজেপির দুই দলই অনেকটা চাপে পড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এদিন এই এই প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেজন্য কংগ্রেস রেল ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর আমাদের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী পরিযায়ীদের বাড়ি ফেরার জন্য দফতর খুলে বসেছিলেন। ক্ষমতায় না থেকেও যে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়, সেটা কংগ্রেস দেখিয়ে দিল। এই শ্রমিকরা এটা বুঝেছেন, এটাই বড় কথা।” কিন্তু যেভাবে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে মানুষ ধন্যবাদ জানাচ্ছে, তাতে তারা কি রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিতে পড়লেন না!

এদিন এই প্রসঙ্গে ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক সুভাষ মন্ডলকে জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে যাকে নিয়ে এত কিছু, যার জন্য বাড়ি ফিরে আসতে পারলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা বলে দাবি করছে, সেই অধীর চৌধুরী ঠিক কি বলছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কংগ্রেস ক্ষমতায় নেই, তা বলে ভাববেন না কংগ্রেস নেই। কংগ্রেস মানুষের সঙ্গে ছিল এবং আছে। পরিযায়ীদের নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দু’পক্ষ ছেলেখেলা করছে। আমার মনে হয়েছিল, যারা ভিনরাজ্যে পড়ে আছে, তাদের ফিরিয়ে আনা জরুরি। প্রধানমন্ত্রী শুনে বলছেন, করোনা পরিবাহিত হবে। রাজ্য বলছে, একটা করোনা এক্সপ্রেস আসছে। আমরা বলছি, খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে ফেরানো কর্তব্য।”

সব মিলিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্র দুই জায়গাতে ক্ষমতায় না থাকলেও, যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে এনে প্রশংসিত হলেন অধীর চৌধুরী, তাতে অধীরবাবু এবং কংগ্রেসের প্রভাব কিছুটা হলেও বাড়তে শুরু করল রাজ্যে। যার ফলে অনেকটাই চাপে পড়ল তৃণমূল এবং বিজেপির দুই রাজনৈতিক দল বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!