সর্বসমক্ষে নব নির্বাচিত সাংসদকে ধমক মমতার, চাঞ্চল্য রাজ্যে কলকাতা বর্ধমান রাজ্য July 5, 2019 লোকসভা ভোটে ৪২ এ ৪২ টি আসনের দাবি তুলেছিল তৃণমূল। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ হওয়া তো দূরে থাক। রাজী মাত্র ২২ টি আসন পেয়েছে শাসকদল। আর ১৮ টি আসন নিয়ে ঘরের কাছে নিঃস্বাস ফেলছে বিজেপি। ফলে চাপ বেড়ে গেছে শাসকদলের। সাথেই হু হু করে ভাঙছে দল, যা নিয়ে বড়সড় অস্বস্তিতে শাসকদল। আর এই সব নিয়েই ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরেই দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন তৃণমূল নেত্রী। দলের খারাপ ফল নিয়ে পর্যালোচনার সাথে সাথেই হয়েছে সাংগঠনিক পরিবর্তনও। দলের নেতা নেত্রীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন নেত্রী। আর বিধান সভাতেও তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তিনি। আর এদিন এমনি এক বৈঠকে বসে দলের সদ্য জেতা তৃণমূল সংসদকে তুলোধোনা করলেন নেত্রী। জানা যাচ্ছে এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমানের দুই জেলার তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে দলের ভাঙ্গন কিভাবে রোধ করা যায় সেই সংক্রান্ত নানা উপদেশ দেওয়ার পাশাপাশি দলের নানা বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেন নেত্রী বিধায়কদের সাথে। আর সেখানেই জয়ী সাংসদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মেজাজ হারান নেত্রী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, রাজ্যে গেরুয়া শক্তির প্রবল উত্থানের মধ্যেও নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ঘাসফুল দুর্গ অটুট রেখেছেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল , আর এদিন সেই সুনীলবাবুকেই নেত্রী ধমক দিয়ে বলেন, “আপনি সংগঠনের কোনও কাজে নাক গলাবেন না। নিজের মতো থাকবেন।” এদিকে এই নিয়ে জোর সোরগোল পরে গেছে রাজ্যেএমনটা কেন হলো তার উত্তর খুঁজতে ব্যাস্ত রাজনৈতিকমহল। শোনা যাচ্ছে এবারে লোকসভা ভোটে সুনীলবাবু জিতলেও দলের একাংশের ক্ষোভ রয়েছে তাঁর উপর। রয়েছে অসহযোগিতার অভিযোগও। তাছাড়া সবচেয়ে বড় অভিযোগ যা উঠেছে তা হলো তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকার কারণেই দল ছাড়ছেন কর্মীরা। সম্প্রতি নেত্রীর কানে এহেন অভিযোগ আসার কারণে এদিন ধমক খান সুনীলবাবু বলেও দাবি একাংশের। আর এই নিয়েই শুরু জল্পনা। প্রকাশ্যে এইভাবে নেত্রীর ধমক কাহুয়ার পর কি হবে আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। জল্পনা এখন তুঙ্গে। আপনার মতামত জানান -