এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > দিদিকে বড় ধাক্কা দিয়ে ফের তৃণমূলের ঘর ভাঙলেন মুকুল, দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ ‘মমতা ঘনিষ্ঠ’হেভিওয়েট নেতার

দিদিকে বড় ধাক্কা দিয়ে ফের তৃণমূলের ঘর ভাঙলেন মুকুল, দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ ‘মমতা ঘনিষ্ঠ’হেভিওয়েট নেতার

২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায় আর তার পর থেকেই দাবি করছিলেন যে তৃণমূলের অনেক বর্বর নেতা নেত্রী বিজেপিতে যোগ দেবেন। কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও তেমন কেউ যোগ দেননি। যা নিয়ে তৃণমূল মুকুলবাবুকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি।

কিন্তু নিজের কথা রেখে লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন একে একে সব বড় বড় হেভিওয়েট নেতারা। তালিকায় আছেন বিষ্ণুপুরের বিদায়ী সংসদ তথা এবারের বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা, বোলপুরের বিদায়ী সংসদ অনুপম হাজরা, মমতা ঘনিষ্ঠ ভারতী ঘোষ, তৃণমূল যুবনেতা নিশীথ প্রামানিক, ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং এছাড়াও অনেক কর্মী সমর্থক। আর এর পরেই তিনি দাবি করে চলেছেন যে, আরো নেতা নেত্রী তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসবে।

আর এদিন সেই দাবিকে সত্যি করে অনুব্রতর ঘর ভেঙে মুকুলবাবুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শৈলেন মাহাতো। মুকুলবাবুর মতে তিনি একজন মমতা ঘনিষ্ঠ নেতা। মুকুল রায় ও আসানসোলের বিদায়ী সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র উপস্থিতিতে এদিন তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই যোগদান প্রসঙ্গে মুকুলবাবু দাবি করেন যে, ”শৈলেন মাহাতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট ছিলেন। কিন্তু দলের কাজে অসন্তুষ্ট তিনি। তাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি।”

শৈলেনবাবু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে নিজের সদ্য প্রাক্তন দল সম্পর্কে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি জানান যে, “রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে দুর্নীতির যথেষ্ট বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যে গণতন্ত্রের বড় অভাব আর সেই কারণেই তৃণমূলের উপর আস্থা রাখতে না পেরেই বিজেপিতে তিনি যোগ দিলেন। ”

এই নিয়ে গেরুয়া শিবিরের দাবি যে প্রায় প্রত্যেক দিনই রাজ্যজুড়ে বহু তৃণমূল কর্মী -সমর্থক রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তৃণমূলের বড় বড় নেতারাও যোগাযোগ রাখছেন। ফলে তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে। থাকবে শুধু ‘পিসি-ভাইপো’। বিজেপি নেতা কর্মী-সমর্থকরা আশার আলো দেখছেন তা বলাই বাহুল্য। যদিও এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো পতিক্রিয়া মেলেনি বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল বা তৃণমূল নেতা নেত্রীদের কাছ থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!