মমতা পুলিশমন্ত্রী, তবুও খুনের আশঙ্কায় তটস্থ ভাঙ্গরের আরাবুল ! জোর চাঞ্চল্য ! তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা রাজনীতি রাজ্য July 13, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙ্গর। গুলি, বোমার আওয়াজ প্রচুর মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। গণনার পরেও সেই এলাকায় হিংসা থামছে না। তৃণমূলের সঙ্গে আইএফএফের রাজনৈতিক সংঘর্ষ ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে নিজের দলের সুপ্রিমো পুলিশ মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। আর হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার এই আশঙ্কাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, এদিন ভাঙ্গরের পরিস্থিতি নিয়ে উস্মা প্রকাশ করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, “শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলাম এবং হাকিমুল ইসলামকে ওরা টার্গেট করেছে। প্রচুর অস্ত্র এবং বোমা আনা হচ্ছে। আইএসএফ এত অস্ত্র কোথা থেকে পাচ্ছে! আমি খুনের আশঙ্কা করছি। যে কোনো সময় খুন হয়ে যেতে পারি। আইএসএফকে মদত দিয়ে বিজেপি এই এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।” তবে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম এত বড় কথা বললেও, তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে চর্চা। অনেকে বলছেন, আরাবুল ইসলাম তৃণমূলের দাপুটে নেতা। তার দল ক্ষমতায় রয়েছে। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দলের সুপ্রিমো, রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। তাহলে ভাঙ্গরের পরিস্থিতি কেন এত উত্তপ্ত হচ্ছে? কেন তা সামাল দিতে পারছেন না রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী! তাহলে কি খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করে একদিক থেকে নিজের দলের সুপ্রিমো এবং পুলিশ মন্ত্রীর ব্যর্থতাকেও সামনে এনে দিলেন আরাবুল ইসলাম! বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাঙ্গরে তৃণমূলকে বিন্দুমাত্র জায়গা ছাড়তে নারাজ আইএসএফ। শুধুমাত্র তৃণমূল একতরফাভাবে হিংসা করে যাবে, আর তারা মুখ বুঝে সহ্য করবে, তেমন রাজনৈতিক দল নয় নওশাদ সিদ্দিকীর দল। তাই তারা শেয়ানে শেয়ানে লড়াই দিতে শুরু করেছে। যার ফলে দুই দলের কর্মীরাই প্রাণ হারাচ্ছেন। তবে প্রশাসন কোনোমতেই এই ভাঙরের পরিস্থিতি আনতে পারছে না। যার ফলে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করতেই শোরগোল পড়ে গেল রাজ্য রাজনীতিতে। প্রশ্ন উঠে গেল রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও। দিনের শেষে অন্তত তেমনটাই দাবি করছে বিরোধীরা। আপনার মতামত জানান -