এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > লাইফ ইজি হয়েছে ঠিকই, তবে টাফও হয়েছে – ঘরে বসে থাকার দিন শেষ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

লাইফ ইজি হয়েছে ঠিকই, তবে টাফও হয়েছে – ঘরে বসে থাকার দিন শেষ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


আর মাত্র কদিনের অপেক্ষা। আর তার পরেই বাঙালি মজে উঠবে শারদোৎসবে। কিন্তু শান্ত রাজ্যকে অশান্ত করতে এই উৎসবের আগেই যে বাংলাকে বেছে নেয় কিছু হিংসাত্মক মানুষ তা ভালোই উপলব্ধি করতে পারছেন বঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন জলপাইগুড়ি জেলার গাজলডোবায় রাজ্য তথা দেশের নতুন পর্যটন গন্তব্য “ভোরের আলোর” উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে সেইরকমই কথা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে 2011 সালে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শেষ করে ইসলামপুর থেকে ফেরার সময় এই গাজোলডোবা জায়গাটি তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষন করে। আর 2011 র নির্বাচনে রাজ্যের কুর্সিতে বসার পরেই এই গাজলডোবার উন্নতিকরনে মনোনিবেশ করে রাজ্যের মা মাটি মানুষের সরকার। জানা গেছে, “ভোরের আলো” প্রকল্পে 320 কোটি টাকা খরচ করে পর্যটকদের জন্য তৈরি হয়েছে কটেজ; বার্ড ওয়াচ টাওয়ার, জলবিহার, সাইকেল ট্রেলিংয়ের মত ব্যাবস্থা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে এই জায়গার প্রতি মানুষের আকর্ষন বাড়াতে এলিফ্যান্ট সাফারি, গলফকোর্স, হেলিপ্যাড, বাজেট হোটেল এবং রিসর্টও তৈরি করা হচ্ছে। তবে স্বপ্নের এই জায়গাকে যাতে কোনোও জমি মাফিয়া গ্রাস না করে এদিন উদ্বোধনী অনুষ্টানে এসে সেই ব্যাপারে দলীয় কর্মী এবং পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হুটহাট করে যাতে এখানে কেউ না আসে তা পুলিশ এবং দলীয় কর্মীদের দেখতে বলছি।”

তবে এই নির্দেশ যদি কেউ অমান্য করে তবে তাদের বিরুদ্ধে যে কড়া পদক্ষেপ নিতেও দ্বিধাবোধ করবেন না তিনি এদিনের সভা থেকে তাও স্পষ্ট ভাষার জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে পুজোর আগেই যেভাবে নাগেরবাজার বিস্ফোরন কান্ড ঘটল এদিন এই গাজলডোবায় “ভোরের আলোর” উদ্বোধনী মঞ্চে এসে সেই ব্যাপারে সকল পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পুজোর আগে কিছু দানবে মানুষ রাজ্যে হিংসা ছড়াতে চাইছে। ওসিদের ঘরে বসে থাকার দিন শেষ। লাইফ যেমন ইজি হয়েছে তেমন টাফও হয়েছে। যারা এলাকার শান্তি বজায় রাখতে পারবেন না তাদের আর ওই পদে থাকার দরকার নেই।” এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন বিস্ফোরনে কে কোথায় কী রেখে যাচ্ছে, কোন গোলমালের ছক কষছে তা খতিয়ে দেখতে কলকাতা পুলিশ, রাজ্য পুলিশ এবং কমিশনারেটের কর্তাদের নাকা চেকিংয়েরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে পুজোয় যাতে অশান্তি বাধা হয়ে না দাড়ায় তার জন্য এবার পুলিশ প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!