এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতাই শেষ কথা? বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে “আজব ফতোয়া” চিঠি নবান্নের! তাজ্জব শিক্ষাবিদরা!

মমতাই শেষ কথা? বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে “আজব ফতোয়া” চিঠি নবান্নের! তাজ্জব শিক্ষাবিদরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্যরাই শেষ কথা, এমন নির্দেশিকা দিয়েছিল রাজভবন। এক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশ মানতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাধ্য নয় বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজভবনের সেই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে আজই সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর তারপরেই এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিঠি দিয়ে রাজ্যের নির্দেশই মানতে হবে বলে জানিয়ে দিল শিক্ষা দপ্তর। যাকে কার্যত “আজব ফতোয়া” বলে সম্বোধিত করছে শিক্ষাবিদদের একাংশ।

সূত্রের খবর, কিছুক্ষণ আগেই রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেখানে জানানো হয়েছে, রাজভবন নয়, রাজ্যের নির্দেশই মানতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে। এক্ষেত্রে উপাচার্য এবং রেজিস্টারদের কড়া ভাষায় এই বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর রাজ্যের এই নির্দেশের পরেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ। অনেকে বলছেন, রাজভবনের পক্ষ থেকে উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করার ক্ষেত্রে কিন্তু কোনো ফতোয়া দেওয়া হয়নি। রাজভবন চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলুক উপাচার্যের মতামত অনুযায়ী। কিন্তু সরকার চাইছে, তারা যা ঠিক করে দেবে, সেই মতই চলবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তাই রাজভবনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরকারের পাল্টা চিঠি “আজব ফতোয়া” ছাড়া আর কিছুই নয় বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

শিক্ষাবিদদের একাংশ বলছেন, কি করে রাজ্য সরকার এই ধরনের চিঠি পাঠাতে পারে! এটা তো ফ্যাসিস্ট কায়দার চূড়ান্ত নমুনা। রাজ্যপাল চেয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উপাচার্যের মতো করে চলুক। কিন্তু সেটা কেন সহ্য হবে না রাজ্য সরকারের? তাহলে কি রাজ্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজেদের দলীয় আখড়াতে পরিণত করতে চাইছেন! বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করার ক্ষেত্রে রাজ্যের কি কোনো নিহিত স্বার্থ রয়েছে! যার কারণে রাজভবনের এই নির্দেশিকা তাদের গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা বাহুল্য, সাতসকালে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপালকে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। আর এবার শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে রাজভবনের নির্দেশ মানা হবে না বলে যে চিঠি পাঠানো হলো, তা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্য রাজভবনের সংঘাতকে ভয়ংকর জায়গায় নিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিরোধীদের দাবি, সব জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ কথা বলবেন, এটাই চাইছে রাজ্য সরকার। স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়, সব জায়গায় থাকবে তাদের নেত্রীর হুকুম। যে জায়গায় ব্যাঘ্রশাবক জন্ম নেয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায়, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিচালনা রাজ্যের হুকুম ছাড়া চলবে, এটা তো ভাবতেই পারে না রাজ্য সরকার। সেই কারণেই রাজ্যপাল যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনতে চাইছেন, তখন পাল্টা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তা “মানা যাবে না” বলে এক চিঠি ধরিয়ে অন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি করলো শিক্ষা দপ্তর বলেই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!