এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডার বিগ জিরো, ভোটব্যাংকে ফাটল ধরালেন শুভেন্দু!

মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডার বিগ জিরো, ভোটব্যাংকে ফাটল ধরালেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভেবেছিলেন, মা-বোনেদের ৫০০, ১০০০ টাকা করে দিলেই তাদের মন ভরে যাবে। আর তারা দিনের শেষে লাইন করে গিয়ে তৃণমূলকে ভোটটা দিয়ে দেবেন।কিন্তু সাধারণ মানুষ বুঝতে শুরু করেছেন যে, একদিকে যখন তৃণমূলের বিভিন্ন নেতারা মা-বোনেদের ইজ্জত লুটে নিচ্ছে, তাদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে, তখন এই পাঁচশ, হাজারে কাজ হবে না। তাদের কাছে তাদের জীবন, তাদের সম্মান সবার আগে। সন্দেশখালি ঘটনা আরও সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে। সেখানকার মাতৃশক্তি এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, লক্ষীর ভান্ডারের টাকা তাদের চাই না, তাদের চাই আত্মসম্মান। যেটা এই সরকার দিতে পারছে না।

তাই সাধারণ মানুষের এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ সরকারের এই কয়েক হাজার টাকা দিয়ে মানুষের মন ভোলানোর চেষ্টার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি অবশ্য অনেকদিন আগে থেকেই বলছেন যে, সামান্য এই টাকা দিয়ে তৃণমূল নেত্রী ভোট কিনতে চাইছেন। বেকার যুবকদের চোখের জল মোছানোর ক্ষমতা এই সরকারের নেই। বরঞ্চ তাদের পঙ্গু করে দিয়ে মা-বোনেদের মাসে মাসে কয়েকশো বা কয়েক হাজার টাকা দিয়ে তিনি ভাবছেন যে, সবাই তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেবেন। কিন্তু এবার সেই দিন শেষ হতে চলেছে।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজভবনে গিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে এই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। আর তারপরেই বাইরে বেড়িয়ে সন্দেশখালিতে যেভাবে মা-বোনেরা জেগে উঠেছে, যেভাবে তারা তৃণমূলের গুন্ডাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন, তাকে কুর্নিশ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, “চোর মমতা শুনে রাখুন, ৫০০, ১০০০ আর কাজ হবে না।” অনেকে বলছেন, লোভের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ গর্জে উঠছেন। তারা আর এই সামান্য টাকাতে আর এই সরকারের প্রতি সমর্থন জানাতে পারছেন না‌। মানুষ ভেবে নিয়েছেন যে, এই সরকারকে বিসর্জন দিতে হলে ভাতা ভর্তুকি থেকে এবং তার লোভ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাই সাময়িক কিছু টাকা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা-বোনেদের কিনে নিতে পারবেন না। তাদের আত্মসম্মান যে সবার আগে, সেটা নারী শক্তি বুঝতে শুরু করেছে বলেই আজকে সন্দেশখালিতে এই জনজাগরণ। তাই আগামী দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই লক্ষীর ভান্ডার বিগ জিরো হয়ে সরকারের পালাবদল ঘটাতে বড় ভূমিকা পালন করবে বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, সরকার উন্নয়নমূলক প্রকল্প গঠন করেছেন বলেই মানুষ তার সুবিধা নিচ্ছে। কিন্তু এই পাঁচশ, হাজার টাকা দিয়ে মানুষের মেরুদন্ড ভেঙে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেটা মেয়েরাও বুঝতে পারছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে সন্দেশখালি। আগামী দিনে গোটা বাংলা সেই পথেই হাঁটবে। লক্ষীর ভান্ডারের চালাকি করে তৃণমূল যদি ভাবে যে, তারা ক্ষমতা দখল করে রাখবে, তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। যার প্রভাব ভোটব্যাঙ্কে নিশ্চিত ভাবে পড়বে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুঝে গিয়েছেন যে, তোষণের রাজনীতি করে, ভাতা দিয়ে মানুষকে আর সন্তুষ্ট রাখা যাবে না। মানুষ গঠনমূলক উন্নয়ন চায়। তারা ঘরে যে বেকার ছেলে মেয়ে রয়েছে, তাদের চাকরি চায়। মেয়েরা নিজেদের আত্মসম্মান চাইছে। সেই কারণেই সন্দেশখালীর মত জায়গাতেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আওয়াজ করে শুরু করেছে। তাই চুরি করে কিছু টাকা মানুষকে দিয়ে মহিলাদের সন্তুষ্ট রাখা যাবে না। এটা অন্তত কান খুলে শুনে নেওয়া উচিত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। তা না হলে ভবিষ্যৎ কিন্তু আরও বিপদজনক হতে চলেছে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!