এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতা পুলিশের কত দম, শেষ দেখে ছাড়বেন শুভেন্দু! চরম উত্তাল রাজ্য!

মমতা পুলিশের কত দম, শেষ দেখে ছাড়বেন শুভেন্দু! চরম উত্তাল রাজ্য!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অনেক হয়েছে কানামাছি ভো ভো খেলা। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালের ইতিমধ্যেই যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার ছিল, তার কিছুই নেননি তিনি। বরঞ্চ এই সরকারকে ছেড়ে রেখে দিয়েছেন। যা খুশি তাই করছে। এরা তাই এবার কি করে টাইট দিতে হয় রাজভবন থেকে শুরু করে নবান্নকে, তা বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একেবারে বিধানসভা থেকে বিরোধী বিধায়কদের সঙ্গে করে নিয়ে এসে রাজভবনে প্রতিবাদ জানানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এমন এক হুংকার দিলেন, যা শুনে রীতিমত কাঁপছে নবান্ন।

অনেকে শুভেন্দু অধিকারীর এই হুমকিকে অনেকভাবে নিতে পারেন। কিন্তু যারা গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ, যারা এই সরকারের আমলে দলতন্ত্র এবং পুলিশি রাজ থেকে মুক্তি পেতে চান, তারা কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীকে সাপোর্ট করছেন। সাপোর্ট করছেন শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের মন্তব্যকে। কারণ এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের মন্তব্য যেমন প্রয়োজন, ঠিক তেমনই তার মত প্রতিবাদী ভূমিকায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার মানুষেরও প্রয়োজন। সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে এদিন শুভেন্দু অধিকারী রাজভবনের দরজায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যে কথা বলেছেন, তাতে সকলেই বলছেন, এবার কথা অনুযায়ী শুভেন্দুবাবুর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। রাজ্যের মানুষ তার ওপর অনেক ভরসা রেখেছেন। কিন্তু কি বললেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে যেভাবে জনজাগরণ হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে এই পুলিশ ধরছে না, তাতে আর ধৈর্য রাখতে পারছে না বিরোধী দল। যারা মানুষের জন্য লড়াই করছেন, তারা এবার সত্যিই এই শাসকের কত ক্ষমতা আছে, সেটা দেখে নিতে চান। আর সেই কারণেই শুভেন্দু অধিকারী একেবারে রাজভবনের দরজায় দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই সরকারকে হুংকার দিলেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন যে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি রাজ্যপাল পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন এবং সন্দেশখালিতে না পৌঁছে যান, তাহলে সোমবার তারা বিরোধী দলের পক্ষ থেকে সেখানে যাবেন।প্রয়োজনে তারা আইন ভাঙবেন এবং ১৪৪ ধারাকে না মেনেই তারা সেখানে পৌঁছবেন। আর তাতে যদি এই রাজ্যের দলদাস পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে, তাহলে সেটা তারা করে দেখাক যে, তাদের কত ক্ষমতা!

অনেকে বলছেন, শিরদাঁড়া সোজা রেখে এইভাবে শাসকের চোখে চোখ রেখে কথা বলার মত নেতা এতদিন বাংলায় দেখতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী প্রমাণ করলেন যে প্রতিবাদ করার ইচ্ছা থাকলে এবং শাসকের কাছে আত্মসমর্পণ না করলে মানুষের কাছে পৌঁছনো যায়। সেক্ষেত্রে পুলিশের ক্ষমতা সবকিছুর কাছে ফিকে হয়ে যায়। তাই এই পুলিশের বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে যাওয়ার কথা বলে শুভেন্দু অধিকারী যেন মানুষের আরও বেশি করে মন জয় করে নিলেন।ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, কত ক্ষমতা আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের, সেটাই এবার দেখা হবে। সাধারণ মানুষ আর কিন্তু কাউকে ভয় পায় না। আর বিরোধী দলের প্রতিবাদ করতে কোনো ভয় নেই। তারা শুধু মানুষকে পাশে চেয়েছিলেন‌। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ যখন এখন প্রতিবাদের রাস্তা বেছে নিয়েছে, তখন এই পুলিশ প্রশাসনের কিছুই করার নেই। সন্দেশখালিতে যদি তারা আটকাতে আসেন বিরোধী দলকে, তাহলে তারা যে ভাষা বোঝেন, সেভাবেই তাদেরকে জবাব দেওয়া হবে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন, পুলিশ দিয়েই সব কাজ হয়। এতদিন সেটাই করেছিলেন তিনি। মানুষ তাকে অনেক সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নিজেকে শোধরানোর মত রাস্তায় আসেননি‌। বরঞ্চ এই পুলিশদের দিয়েই, এই পুলিশকে হাতিয়ার করেই একের পর এক বিরোধী দলের বিরুদ্ধে দেওয়া থেকে শুরু করে যারাই প্রতিবাদ করতে আসবে, তাদেরই কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন‌‌। কিন্তু মানুষ বুঝিয়ে দিলেন, পুলিশিরাজ শেষ কথা বলে না।

তাই শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী ১৪৪ ধারা দিয়ে যে ভয় এই রাজ্যের প্রশাসন দেখাচ্ছে, সেটাকেও ভেঙে সন্দেশখালি পৌঁছে যাওয়ার হুঙ্কার ছাড়লেন। আর যদি সত্যিই রবিবার সারাদিনের মধ্যে রাজ্যপাল সেই সন্দেশখালিতে পৌঁছে না যান, কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তাহলে নিজের কথাকে সত্যি করেই সন্দেশখালি পৌঁছে যাবেন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা। আর তাদের আটকাতে পুলিশ প্রশাসন যতই লাঠি সোটা নিয়ে থাকুক না কেন, যতই ব্যারিকেড করুক না কেন, সেই সমস্ত কিছুকে ভেঙে পুলিশের বিরুদ্ধেই মানুষের ব্যরিকেড গড়ে তুলবেন শুভেন্দু অধিকারী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!