এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতার ১৪৪ ধারাকে থোড়াই কেয়ার! রাজভবনের সামনে আগুন জ্বালালেন শুভেন্দু!

মমতার ১৪৪ ধারাকে থোড়াই কেয়ার! রাজভবনের সামনে আগুন জ্বালালেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তিনি নাকি আইনের রক্ষক! অথচ তার শাসনে প্রতি মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত হচ্ছে। কিন্তু তিনি নাটক, নাচ-গান নিয়েই মজে থাকছেন। এই মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে আপনাদের লজ্জা হয় না? আপনাদের মনে হয় না যে, কতটা অপদার্থ হলে এই রকম কাজ করা যায়! যেটা আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করছেন! সন্দেশখালিতে আগুন জ্বলছে, জনতার প্রতিরোধ হচ্ছে। অথচ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের গ্রেপ্তার না করে পুলিশ বিজেপি নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করছে। এলাকায় বন্ধ ইন্টারনেট, জারি করা রয়েছে ১৪৪ ধারা। কিন্তু যারা দোষ করলো, তাদেরকে গ্রেফতার করার কোনো চেষ্টাই নেই এই প্রশাসনের। তাহলে এদেরকে অপদার্থ বলা যাবে না, তো কাদেরকে বলা যাবে! তবে এদের মুখের উপর জবাব দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের বুকে যদি কেউ থেকে থাকে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। তাই মানুষজন যখন অপরাধীদের অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছেন, তখন এলাকায় কাউকে পৌঁছতে না দিয়ে পুলিশ প্রশাসন যেভাবে 144 ধারা জারি করেছে, তাতে তাদের মুখের

ওপর জবাব দিলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। একেবারে রাজ্যপালের শরণাপন্ন হওয়ার পাশাপাশি রাজভবনের গেটের বাইরে ১৪৪ ধারার কপি পুড়িয়ে নয়া দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, এদিন সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের শরণাপন্ন হয় বিরোধী বিধায়করা। কিন্তু রাজ্যপাল এই সময় রাজভবনে নেই। তিনি নাকি কেরালায় গিয়েছেন। রাজ্য যখন জ্বলছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী তো এমনিতেই অপদার্থ, কিন্তু সেই সময় সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তো রাজ্যপালের অন্তত এই বাংলায় থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে তিনি কেন কেরালায়, সেটাই বড় প্রশ্ন।

যাই হোক, এসবের মধ্যে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী প্রতিবাদটা কিন্তু এক অন্য জায়গায় নিয়ে গেলেন। রাজভবনের সিঁড়িতে বসে গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর পর ১৪৪ ধারার কপি বাইরে বেরিয়ে ছিড়ে ফেলে পুড়িয়ে দিতে দেখা যায় এই রাজ্যের বিরোধী দলকে। যার নেতৃত্ব দেন সেই শুভেন্দু অধিকারী। এখন অনেকে বলতেই পারেন যে, শুভেন্দুবাবু আইন ভাঙ্গছেন। তিনি সন্দেশখালিতে যেভাবে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে, তাতে পেছন থেকে প্ররোচনা দিচ্ছেন। তবে এখানেই প্রশ্ন যে, হাজার প্ররোচনা আসুক, হাজার উত্তেজনা আসুক, কেন এই রাজ্যের পুলিশ তাকে দমন করতে পারছে না! আর প্ররোচনা কেউ কাউকে দেয়নি। প্ররোচনা তো এই রাজ্যের পুলিশ অভিযুক্তদের দিয়ে রেখেছে। সেই কারণেই আজকে শাহজাহান ঘটনার 35 দিন পরে গ্রেপ্তার হয়নি। তাহলে এই অপদার্থ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা বারবার করে শুভেন্দু অধিকারীর দেখানো পথেই গোটা রাজ্যের মানুষের ভেঙে দেওয়া উচিত বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপি দাবি, ১৪৪ ধারা দেখে আর কেউ ভয় পায় না। আইন এবং গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করার জন্য এই প্রশাসনের এমন কারসাজি। যাতে কেউ সন্দেশখালির মানুষের কাছে পৌঁছতে না পারে, তার জন্যই এখানে ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু এসব করে মূল অভিযুক্তকে বেশি দিন আটকে রাখা যাবে না। গ্রেফতারির ভয় দেখালে তার বিরুদ্ধে আরও বেশি করে প্রতিবাদ সংঘটিত হবে। সন্দেশখালির দেখানো পথে আগামী দিনে গোটা বাংলা হাঁটবে। তাই আতঙ্কিত হয়ে এখন বিভিন্ন ধারা জারি করে মানুষের এবং বিরোধী দলের কথা বলার রাস্তাকে বন্ধ করে দিতেই শাসকের এই চক্রান্ত বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী এবং বর্তমান বিরোধী দলের কিন্তু ভরসার জায়গাতে নেই রাজ্যপালও। এই সময় কি করা দরকার ছিল এই রাজ্যের রাজ্যপালের! এই সরকারের প্রতি তো তার বিন্দুমাত্র ভরসা থাকা উচিত নয়। বরঞ্চ কেন্দ্রের শরণাপন্ন হয়ে বলা উচিত ছিল যে, এই রাজ্যে পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি সামলাতে পারছে না। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে সন্দেশখালিকে সামলানো হোক। কিন্তু সেটা না করে রাজ্যপাল কেরলে চলে গিয়েছেন। তাহলে তিনি এই সাংবিধানিক প্রধানের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন কেন! কেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই হাঁটছেন?

স্বাভাবিক ভাবেই যখন রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো সদর্থক পদক্ষেপ পাওয়া যাবে না, তখন শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলের ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজভবন। কিন্তু তাদের ভূমিকা নিয়েও কিছু প্রশ্ন উঠছে। তাই শেষ পর্যন্ত সেখানে দাঁড়িয়ে এই রাজ্য প্রশাসনের যে ফ্যাসিস্ট আচরণ, সন্দেশখালিতে যেভাবে 144 ধারা জারি করে মানুষের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধেই সেই ১৪৪ এর কপি ছিড়ে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন, তিনি সন্দেশখালীর এই প্রতিবাদের সঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। আর সরকারের পক্ষ থেকে যদি কন্ঠরোধের চেষ্টা হয়, তাহলে তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!