প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বিভিন্ন জনসভা থেকে ভাইজান তথা আব্বাস সিদ্দিকীর প্রতি একাধিক কটাক্ষ করতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কখনো তাঁকে পচাধচা, কখনো চ্যাংড়া, কখনো বা বাচালছেলে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার প্রবল ভাষায় আক্রমণ করলেন আব্বাস সিদ্দিকী। আব্বাস সিদ্দিকী জানান, নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রুখে দেবার কথা বলেছেন। সাধারণ মানুষকে তিনি হাতা, খুন্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রুখে দেবার কথা বলেছেন। আর সাধারণ মানুষ যদি হাতা খুন্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রুখতে যান, তবে চলবে গুলি। গুলিতে ঝরবে প্রান। আর সেটা নিয়ে রাজনীতি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আব্বাস সিদ্দিকী অভিযোগ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে মারার পরিকল্পনা করছেন। প্রসঙ্গত, গতকাল তাঁর ভাই নৌশাদ সিদ্দিকীর হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন ভাঙ্গরে আব্বাস সিদ্দিকী। ভাঙ্গরে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফন্টের নির্বাচনী সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগলেন আব্বাস সিদ্দিকী। তিনি জানালেন, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এনেছেন বিজেপিকে। ১৯৯৮ সালে বিজেপির হাত ধরে ছিলেন তিনি। বিজেপির সঙ্গে একসঙ্গে সভাও করেছিলেন তিনি।

আব্বাস সিদ্দিকী জানালেন, ১৯৯৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির মন্ত্রিসভাতে রেল মন্ত্রী হয়েছিলেন। আবার, ২০০২ সালেও তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন। সেই বছরই গুজরাট দাঙ্গা হয়েছিল, কিন্তু, এ বিষয়ে একটি কথাও বলতে দেখা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আব্বাস সিদ্দিকী জানালেন, দাঙ্গার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। কিন্তু সে সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন।

আব্বাস সিদ্দিকী কটাক্ষ করেছেন যে, আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হলেন আসল বিজেপি। আবার ইতিপূর্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, বিজেপির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছেন আব্বাস সিদ্দিকী। এর পাল্টা জবাবে আব্বাস সিদ্দিকী জানালেন যে, যদি অভিযোগ থাকে, তবে তা প্রমাণ করে দেখান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজেই একসময় বিজেপির হাত ধরে নিয়েছিলেন। আব্বাস সিদ্দিকী জানান, কলকাতা বিমানবন্দরের নাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে রয়েছে। বিজেপি এই নাম পরিবর্তন করতে চেয়েছিল, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থন করেছিলেন। এভাবেই ভাঙ্গড়ের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী।