এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নিউটাউন কাণ্ডে নয়া মোর, বহুদূর পর্যন্ত ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারের সন্দেহ গোয়েন্দাদের

নিউটাউন কাণ্ডে নয়া মোর, বহুদূর পর্যন্ত ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারের সন্দেহ গোয়েন্দাদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নিউটাউন কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সুমিত কুমার ও ভরত কুমার রয়েছে পুলিশের হেফাজতে। যাদের সঙ্গে পাঞ্জাবের দুই দুষ্কৃতী জয়পাল সিং ভুল্লার ও যশপ্রীত খারার যোগাযোগের কথা জানা গেছে। এই দুই দুষ্কৃতীকে অল্প কিছুদিন আগে পাঞ্জাব থেকে এনে বিধান নগরের একটি বাড়িতে রাখা হয়েছিল। পরে তাদের নিউটাউনের এই ফ্ল্যাটে আনা হয়। এদের কোথায় রাখা হয়েছিল?

তা এখনো জানা যায়নি। তবে, একটি গাড়িতে করে এদের পাঞ্জাব থেকে কলকাতায় আনা হয়েছিল বলে, জানা যাচ্ছে। পাঞ্জাব পুলিশের এক কর্মীর পরিচয় পত্র দিয়ে এই গাড়ি কলকাতায় আনা হয়। ইতিমধ্যে সুমিত কুমার ও ভারত কুমারকে জেরা করে তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকা কনস্টেবল অমরজিৎ সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দুষ্কৃতী জয়পাল সিং ভুল্লার ও যশপ্রীত খারার আস্তানা কোথায় ছিল? সে বিষয়ে খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা। জানা গেছে, ভরত কুমার কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে একটি বিশেষ হোটেলে একাধিকবার উঠতেন। সেখানকার সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে বেশ কিছু ফুটেজ পাওয়া গেছে। এই সূত্র ধরেই পাঞ্জাব যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একদল গোয়েন্দা। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, দুষ্কৃতী দুষ্কৃতী জয়পাল সিং ভুল্লার ও যশপ্রীত খারা ভারত থেকে ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে হয়ে তাইল্যান্ডে যাবার চেষ্টায় ছিল। কি করে ভুয়ো পাসপোর্ট তাদের হাতে এলো? তা এখনো গোয়েন্দারা জানতে পারেন নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে নিউটাউনে ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর নম্বর ছাড়া সিম কার্ড পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার এক বাসিন্দার নামে থাকা সিমকার্ড পাওয়া গেছে। পুলিশের সন্দেহ, দুষ্কৃতীরা ভিআইপি নম্বরের সিম কার্ডের চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে এই কাজ চলে আসছিল। আবার ফ্লাট থেকে পাঁচটি অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। যারমধ্যে তিনটি অস্ত্র তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানে। বাকি দুটি অস্ত্রর মধ্যে একটি চেক প্রজাতন্ত্রতে, একটি আমেরিকায় তৈরি হয়েছিল।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানে তৈরি অস্ত্র দিয়েই সেদিন গুলি ছোড়া হয়েছিল। সেদিনের ঘটনায় নিহত দুস্কৃতিদের হাতে বারুদের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেদিন ৩৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল। আবার, ইতিমধ্যে পাঞ্জাব থেকে বিপুল অস্ত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। এই অস্ত্রর সঙ্গে ভরত কুমারদের যোগাযোগ ছিল কিনা? তার সন্ধান চলছে। সবকিছু নিয়েই ঘটনা নতুন মোড় নিতে পারে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ এই চক্র বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত, এখনো যেটুকু জানা গেছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!