মমতার সুখের দিন শেষ? ব্যাগ গোছানোর কথা বললেন শুভেন্দু! শোরগোল রাজ্যে! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য December 4, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের একের পর এক নেতা মন্ত্রী জেলে যাচ্ছেন। কিন্তু মূল মাথা, সে কেন এখনও বাইরে থাকবে! কবে গ্রেপ্তার হবেন প্রকৃত চোর! সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলে মাঝেমধ্যেই রাস্তায় নামছে বিরোধীরা। সকলেই একটা দৃশ্য দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন যে, এই রাজ্যের যিনি চালিকা শক্তি, যার ইন্ধনে এত বড় চুরি হয়েছে, তার শাস্তি কবে হবে? তবে বারবার সেই ব্যাপারে সকলকে আশ্বস্ত করে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতারা বলেই চলেছেন, খুব তাড়াতাড়ি সেই সময় আসছে। আর আজ বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তাকে চোর বলে বড় ইঙ্গিত দিলেন সেই শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা এদিন যে কথা বললেন, তারপর আরও একবার সমস্যার মুখে পড়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের অনেক নেতাও এখন ভয়ে রয়েছেন যে, কখন কি হয়! প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভায় একাধিক বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ব্যাগ গোছান, চোর মমতা।” একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর এই কথার মধ্যে যথেষ্ট ইঙ্গিত পূর্ণ বার্তা রয়েছে। বারবার তিনি দাবি করেছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকৃত চোর। তার অনুমতি ছাড়া, তার প্রশ্রয় ছাড়া কেউ এত বড় শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি এবং খাদ্য নিয়োগ দুর্নীতি কেউ করতে পারে না। তাই তাকে এবার গ্রেপ্তার করতে হবে। আর এদিন ফের সেই শুভেন্দু অধিকারী ব্যাগ গোছানোর কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীর ভবিষ্যৎকে আরও বিপদের মুখে ফেলে দিলেন। তেমনটাই বলছেন সমালোচকরা। বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে শাসকের আইন প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু দেশে রয়েছে আইনের শাসন। আর সেই আইনের শাসনের ফলেই একের পর এক এই রাজ্যের নেতা, মন্ত্রী যারা দুর্নীতি করেছেন, তারা জেলে যাচ্ছেন। তবে মূল মাথার জেলে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। শুভেন্দু অধিকারী এদিন সেই কথাই বলতে চেয়েছেন। খুব দ্রুত সময় আসছে। ক্ষমতা ভোগ করার দিন শেষ মুখ্যমন্ত্রীর। তাই এবার বিদায় নেওয়ার জন্য তৈরি হোন। মানুষের সাজানো সংসার তিনি ধ্বংস করেছেন। পশ্চিমবঙ্গকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। তাই এবার দেশের আইনের কাছে দোষ করলে তিনি ছাড়া পাবেন না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলে এবং সরকারে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যা বলবেন, সেটাই শেষ কথা। সেখানে এত বড় দুর্নীতি সংগঠিত হয়েছে, একের পর এক মন্ত্রী জেলে যাচ্ছে, অথচ তার সঙ্গে আলোচনা না করেই এই দুর্নীতি করেছেন তারা, এটা কেউ বিশ্বাস করতে চাইছেন না। আর শুভেন্দু অধিকারীও খুব ভালো মত জানেন যে, কিভাবে মানুষের স্বপ্নকে চুরি করেছে এই সরকার। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরজায় যে বড়সড় বিপদ কড়া নাড়ছে, তা বিধানসভায় বসেই আগাম জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। স্বাভাবিক ভাবেই সুখের সংসার শেষ হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর। এবার দুর্দিনের জন্য দিন গোনা শুরু করুন তিনি। শুভেন্দুবাবুর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -