এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কোন মন্ত্রে মমতা 100 দিনের কাজে কোটি কোটি কর্মদিবস তৈরি করছেন? রহস্য সমাধানে কেন্দ্রীয় দল

কোন মন্ত্রে মমতা 100 দিনের কাজে কোটি কোটি কর্মদিবস তৈরি করছেন? রহস্য সমাধানে কেন্দ্রীয় দল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সারা দেশের মধ্যে 100 দিনের কাজের ক্ষেত্রে প্রথম স্থান অধিকার করতে দেখা গেছে বাংলাকে। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা দেশে বাংলার এই সাফল্য তুলে ধরে কৃতিত্ব ছিনিয়ে নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু কিভাবে বাংলা লাগাতারভাবে 100 দিনের কাজ এই সাফল্য পাচ্ছে, তা নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। তাই এই পরিস্থিতিতে 100 দিনের কাজে বাংলার সাফল্যের ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে দিল্লি। বস্তুত, করোনা এবং লকডাউনের মধ্যে যখন সকলের দৈনদশা, তখনও 100 দিনের প্রকল্পে বাংলায় যে কাজ হয়েছে, তা কার্যত কল্পনার বাইরে।

জানা গেছে, চার মাসে পশ্চিমবঙ্গ এই 100 দিনের কাজের ক্ষেত্রে 4 হাজার 700 কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে। শুধু তাই নয়, 91 লক্ষ্য সক্রিয় জবকার্ডধারীর মধ্যে গত 4 মাসে পঞ্চায়েত দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রায় 76 লক্ষ মানুষকে কাজ দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে কর্মদিবস সৃষ্টি সহ এই 100 দিনের কাজে ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও যেভাবে বাংলা এগিয়ে গেছে, এবার তার রহস্য উন্মোচন করতে রাজ্যে আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের এক জেলা শাসক বলেন, “টানা লকডাউনে মানুষের হাতে কাজ ছিল না। তাই অনেকে‌ এসে কাজ চেয়েছেন। সেই কারণেই বেশি কাজ হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা 100 দিনের কাজে রাজ্যের সাফল্য মানতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “যে রাজ্য সময় কাজ না করার ব্যাপারে রেকর্ড করে, সেখানে চার মাসে 5000 কোটি টাকা খরচ হয়ে গেল? ছুটির দিনে লকডাউনের দিন বাদ দিলে দেখা যাচ্ছে, গড়ে প্রতিদিন এক লক্ষ মানুষ কাজ পেয়েছে। আমি তো এই সময়েও বহু জেলায় গিয়েছি। কোথাও দেখিনি কেউ কাজ করছেন।” তাহলে কি দিল্লির তরফে যে প্রতিনিধিদল আসছে, তারা এই ব্যাপারে দুর্নীতি হয়েছে, তা ভেবেই গোটা ব্যাপারটি তদারকি করতে আসছে?

নাকি এই কাজে সাফল্য কিভাবে রাজ্য সরকার পেল, তার অনুসন্ধান করতে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “যদি চুরি হয়ে থাকে, তাহলে দিল্লির দল এসে ধরুক। তা না হলে বলে যেতে হবে, 100 দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ সেরা। 100 দিনের কাজের আইন অনুযায়ী মানুষ চাইলে কাজ দিতে হবে। না দিতে পারলে বেকার ভাতা দিতে হবে। আমরা সবাইকে সময়ে কাজ দিয়েছি বলে এখনও কাউকে বেকার ভাতা দিতে হয়নি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগেও বিভিন্ন ঘটনায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রাজ্যে আসা নিয়ে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের দ্বৈরথ চরমে উঠেছিল। আর এবার 100 দিনের কাজে সাফল্য নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে আসার সাথে সাথেই যেভাবে পঞ্চায়েত মন্ত্রীর কথায় কিছুটা হলেও বিরক্তির সুর ফুটে উঠল, তাতে রাজ্য যে এই পর্যবেক্ষণে খুব একটা খুশি নয়, তা স্পষ্ট বিশেষজ্ঞদের কাছে। এখন দেখার বিষয়, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে এসে 100 দিনের কাজ খতিয়ে দেখে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে! যার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!