এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মতুয়া মন রাখতে ও কন্যাশ্রীর জয়গানে দুটি বড়সড় পদক্ষেপের পথে রাজ্যসরকার

মতুয়া মন রাখতে ও কন্যাশ্রীর জয়গানে দুটি বড়সড় পদক্ষেপের পথে রাজ্যসরকার


মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী প্রকল্প তাঁকে বিশ্বের দরবারে সাফল্যের অন্যতম স্থান দিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে সামাজিক সুরক্ষার এই প্রকল্পকে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দেশ,বিদেশে বহুল প্রশংসিত হয়েছে রাজ্যসরকারের এই প্রকল্প। রাজ্যের দরিদ্র সীমায় নীচে অবস্থানকারী পরিবারের মেয়েরা যাতে অর্থের অভাবে পড়াশুনো বন্ধ না করে তার জন্যে মুখ্যমন্ত্রী চালু করেছিলেন কন্যাশ্রী প্রকল্প।

আজ রাজ্যের প্রায় ৫০ লক্ষ ছাত্রী এই প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা ভোগ করছে। শিক্ষার পথে অনেক দূর এগোতে পারছে কন্যাশ্রীরা। মাঝপথে টাকার অভাবে তাদের আর পড়াশুনো বন্ধ করতে হয় না। কমেছে স্কুল ছুটের সংখ্যাও।

তবে এবার এই কন্যাশ্রী প্রকল্পকে আর স্কুলের গন্ডিতে বেঁধে রাখতে চায় না রাজ্যসরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় আনতেও উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিলাদের জন্যে রাজ্যে দ্বিতীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে রাজ্যসরকার। নাম দেওয়া হবে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়। সেইমতো বিধানসভায় একটি বিলও পেশ হতে চলেছে আজ।

কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের বড়সড় প্রভাব পড়েছে গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যসরকারের ভোটব্যাঙ্কে। তাই লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে সেই ভোটব্যাঙ্কে জোয়ার আনতেই কন্যাশ্রী প্রকল্পকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডীর মধ্যে আনতে চাইছে রাজ্যসরকার,এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এজন্যেই রাজ্যের মেয়েদের সার্বিক উন্নতির জন্যে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর। এমনটাই খবর শিক্ষাদপ্তর সূত্রের।

তাছাড়া,তৃণমূলের দাবী, রাজ্যসরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বেটি বাঁচাও,বেটি পড়াও’ প্রকল্পকে ছাপিয়ে অনেক উপরে উঠে গিয়েছে। তাছাড়া এই প্রকল্পের সহায়তায় বাল্য বিবাহ যেমন কমেছে,তেমনি শিক্ষালাভের ক্ষেত্রে আরো সচেতন করা গিয়েছে মেয়েদের। প্রাথমিক পর্যায়ের সাফল্যের পর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যে দ্বিতীয় মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির উপর জোর দিয়েছেন। নেত্রীর নির্দেশ মতোই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কাজে ময়দানে নামতে প্রস্তুত দপ্তর। নদীয়া জেলার উপযুক্ত কোনো একটা জায়গায় তৈরি করাট ভাবনা চিন্তা করছে দপ্তর।

কন্যাশ্রীর পাশাপাশি মতুয়াদের কাছে টানতে পূর্বের প্রতিশ্রুতি মতো উত্তর ২৪ পরগনায় আরো একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষাদপ্তর। মতুয়া সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তিত্ব হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদের নামেই এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে বলেই আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন নেত্রী। সেইমতো এদিনই একটি পৃথক বিল বিধানসভায় আনার কথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। বনগাঁ মহাকুমার বিধায়করা বহুদিন আগেই নেত্রীর কাছে জানিয়েছিলেন জেলায় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হলে খুব ভালো হয়। প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে তাহলে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তাঁদের সেই দাবীকে মান্যতা দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে নেত্রীর এই সিদ্ধান্তে যথেষ্ট আপত্তি জানিয়েছেন বিরোধী দলের বিধায়করা। প্রশ্ন তুলেছেন,’তাহলে
বারাসতে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচয় কী? সেটি কি সরকারি, না বেসরকারি?’

বিরোধীদের মতে ,শুধুমাত্র মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে দখলে রাখতে লোকসভা ভোটের আগে বনগাঁ মহাকুমা এলাকায় হরিচাঁদ,গুরুচাঁদের নামে এই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে চাইছে তৃনমূল সরকার। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!