এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মতুয়া ভোট নিয়ে এবার তীব্র সঙ্কটে গেরুয়া শিবির? ফাঁক বুঝে ঘুরে দাঁড়িয়ে হাসি চওড়া তৃণমূলের?

মতুয়া ভোট নিয়ে এবার তীব্র সঙ্কটে গেরুয়া শিবির? ফাঁক বুঝে ঘুরে দাঁড়িয়ে হাসি চওড়া তৃণমূলের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মতুয়াদের সংগঠনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এবার বিজেপির মধ্যেকার ফাটল ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করল। একদিকে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং আরেকদিকে মুকুটমণি অধিকারীর মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং তাকে কেন্দ্র করে মতুয়াদের সংগঠন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

জানা গেছে, বগুলায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের দাবিতে বিজেপি ঘনিষ্ঠ মতুয়া সংগঠনের একটি কর্মসূচি ছিল। আর তার দুদিন আগেই এই দাবিতে অন্য একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে ডাক পাননি বিজেপির মুকুটমণি অধিকারী। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিতে।

সূত্রের খবর, এদিন রানাঘাটের রথতলায় শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া মহাসংঘ এবং নিখিল ভারত বাঙালি সমন্বয় সমিতির যৌথ উদ্যোগে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অশোক চক্রবর্তী, বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার সহ অন্যান্যরা। কিন্তু এখানে কেন উপস্থিত নেই মুকুটমণি অধিকারী! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

জানা গেছে, বর্তমানে মুকুটমণি অধিকারী বিজেপির মতুয়া সংগঠনের নদিয়া দক্ষিণ জেলার সভাপতি। ফলে দায়িত্বে থাকলেও কেন তাকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হল না, তা নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। একাংশের দাবি, বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের সঙ্গে গত লোকসভা ভোটের সময় থেকেই মুকুটমণি অধিকারীর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।

প্রথমে তিনি প্রার্থী হলেও শেষ পর্যন্ত চাকরি সংক্রান্ত জটিলতায় তার আর প্রার্থী হওয়া হয়নি। পরবর্তীতে এখানে জগন্নাথ সরকার জিতলেও সেই মুকুটমণি অধিকারীর সঙ্গে তার দূরত্ব কমেনি। মূলত এই দুই নেতার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল। আর মতুয়ার সংগঠন নিয়ে জগন্নাথ সরকার একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকলেও, সেখানে মুকুটমণিবাবুকে না ডাকায় বিজেপির অভ্যন্তরীয় দ্বন্দ্ব তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন তাকে এই কর্মসূচিতে ডাকা হল না? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “মুকুটমণি অধিকারীকে মতুয়া সংগঠনে আগে দেখিনি। হঠাৎ সভাপতি হয়েছেন দেখলাম। যারা দীর্ঘদিন ধরে এই সংগঠন করছেন, তারাই এদিনের কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। সেটা কিভাবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়, আমার মাথায় ঢুকল না।” এদিকে এই ব্যাপারে সেই মুকুটমণি অধিকারী বলেন, “রানাঘাটের কর্মসূচির কথা জানতাম না‌। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর মাধ্যমে মতুয়াদের বিভক্ত করা হচ্ছে।”

অর্থাৎ দুই নেতার কথাতেই স্পষ্ট যে, তাদের মধ্যে কতটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আর এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে যে মতুয়া ভোট গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল, সেই ভোট দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা‌। যদি সত্যি সত্যিই দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে তা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দিকে সেই মতুয়াদের সমর্থন কতটা থাকবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। সব মিলিয়ে দুই নেতার দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে এবার বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!