এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘বিক্ষুব্ধ’ শুভেন্দুর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে একাধিক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী? তীব্র হচ্ছে জল্পনা?

‘বিক্ষুব্ধ’ শুভেন্দুর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে একাধিক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী? তীব্র হচ্ছে জল্পনা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বর্তমানে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে বঙ্গ রাজনীতিতে। দল এবং সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব অবলম্বন করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে। মনে করা হচ্ছে, দ্রুত তিনি বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী যদি তৃণমূল ত্যাগের মত সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তা যে শাসকদলের কাছে বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে দীর্ঘদিন ধরেই অনেকে প্রশ্ন করতে শুরু করেছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক প্রভাব এবং সাংগঠনিক প্রভাব অনেকটাই, সেই শুভেন্দু অধিকারীর মান ভাঙানোর জন্য কেন তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেউ এগিয়ে আসছেন না! একবার প্রশান্ত কিশোর তার বাড়িতে যাওয়ার পর আর তৃণমূলের কোনো নেতাকে সেই শুভেন্দু অধিকারীর মান ভাঙানোর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের এই দৃষ্টিকোণ নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। তবে বিশেষ সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, অবশেষে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, সোমবার পূর্ব কলকাতার উপকণ্ঠে তার সঙ্গে তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান সাংসদ আলোচনায় বসেছিলেন। যদিও বা এই ব্যাপারে মুখ খোলেনি কোনো পক্ষ।

বস্তুত, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল, তখন একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে থাকেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। নন্দীগ্রাম দিবসে অরাজনৈতিক সভায় উপস্থিত থেকে বেশকিছু ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে। তার পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তাকে কটাক্ষ করতে থাকে তৃণমূলের একাংশ।

ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনকি অখিল গিরির মত জনপ্রতিনিধিরা শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। যার ফলে শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দলের দূরত্ব আরও তীব্র হয়। অনেকেই দাবি করতে থাকেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পর দলে যদি কারও জনপ্রিয়তা থেকে থাকে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারীকে গুরুত্ব না দিয়ে কেন তাকে বরঞ্চ দূরে ঠেলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তৃণমূলের একাংশ!

যদি এভাবেই শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করা হয়, তাহলে তিনি বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আর তিনি যদি দলত্যাগ করার মত সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তৃণমূলের পক্ষে তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা কার্যত অসম্ভব হয়ে যাবে বলে দাবি করছেন একাংশ। তাই এই পরিস্থিতিতে দলের পক্ষ থেকে একটা বড় অংশ নেতৃত্ব যাতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসে, তার জন্য আবেদন করতে শুরু করেছিলেন। অবশেষে বর্ষীয়ান এক তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন বলে খবর পাওয়া গেল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অবশেষে কি বরফ গলল? মান ভাঙল শুভেন্দু অধিকারীর? একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর মন বোঝার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে দফায় দফায় আলোচনা চালানো হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতা বলেন, “মনে হচ্ছে শুভেন্দু এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফলে আলোচনার রাস্তা এখনও খোলা আছে। শুভেন্দু তো আবার সকলের সঙ্গে কথা বলতে চায় না। ফলে আমাদেরও অনেক ভাবনা চিন্তা করে এগোতে হচ্ছে।”

আর তৃনমূল নেতৃত্বের এই কথাতেই স্পষ্ট যে, শুভেন্দু অধিকারী যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তা তাদের কাছে বড় ফাটলের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই তারা এখন আসল সমস্যাকে অনুধাবন করে শুভেন্দু অধিকারীর মান ভাঙানোর জন্য ময়দানে নামতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, আগামী 19 নভেম্বর শুভেন্দু অধিকারী তার রাজনৈতিক পথ স্পষ্ট করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।

আর তার আগেই এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই শুভেন্দু অধিকারী যাতে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তার জন্য তার মান ভাঙাতে এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে আলোচনার টেবিলে বসার উদ্যোগ নেওয়া হল। কিন্তু সেই আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হয়, শুভেন্দু অধিকারী আদৌ তৃণমূল নেতৃত্বের আহ্বানে সাড়া দেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!