এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > মমতার সাধের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ নিয়েও দুর্নীতির লক্ষ্য! প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য!

মমতার সাধের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ নিয়েও দুর্নীতির লক্ষ্য! প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  -রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের এই প্রকল্প সাধারণ গরিব মানুষদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যাপক সহযোগিতা করে আসছে। কিন্তু এবার সেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বেশকিছু নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। যেখানে সুস্থ রোগীদের নিজেদের নার্সিংহোমে ফেলে রেখে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের টাকা যাতে পাওয়া যায়, তার জন্য চেষ্টা শুরু করেছে বেশকিছু নার্সিংহোম। স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্য সামনে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। একদিকে প্রশাসনের নজরদারি নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, ঠিক তেমনই সাধারণ মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে রাজ্য সরকারের জনমুখি প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে নার্সিংহোমগুলোর বিরুদ্ধেও সরব হতে দেখা যাচ্ছে একাংশকে।

জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের বেশ কিছু নার্সিংহোমে বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এই অভিযোগ উঠেছে। যেখানে এদিন পৌঁছে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের তদন্তকারীরা। আর সেখানে গিয়েই তারা দেখেন, 10 থেকে 12 জন রোগী এমন রয়েছে, যাদের তেমন কোনো অসুখ নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অপব্যবহার করছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ‌। অর্থাৎ সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাতে কোনো খরচ না হয়, তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু কিছু নার্সিংহোম সেটাকে অসাধু কাজে ব্যবহার করে অনেক রোগীদের শুধুমাত্র হাসপাতালে নিয়ে এসে শুইয়ে রেখে সেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আর এই রকম তথ্য সামনে আসার সাথে সাথেই সরকারের এই প্রকল্প এবং তার উদ্দেশ্য নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

কেন তারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত? কেন অসুখ না থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে আসে রাখা হয়েছে? তাহলে কি তাদের উদ্দেশ্য চিকিৎসা করা নয়! বরঞ্চ সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসা করানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তাকেও আত্মসাৎ করা? নার্সিংহোমগুলো যদি এইরকম কাজ করতে থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষ কাদের উপর ভরসা রাখবে? এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছে আনন্দময়ী নার্সিংহোম। এদিন এই নার্সিংহোমের এক কর্তৃপক্ষ বলেন, “কারা নাকি অভিযোগ করেছেন যে, আমরা নার্সিংহোমে ভর্তি থাকার জন্য 10 হাজার টাকা করে দিয়েছি। কিন্তু এটার তো কোনো প্রমাণ নেই। কেউ তো বাচ্চা নন যে, তাদের ভুল বুঝিয়ে বা জোর করে অথবা টাকা দিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি করাব! আমরা শোকজের উত্তর এটাই জানিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে স্বাস্থ্য দপ্তরের তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে শোকজ করা হলেও, শোকজ এর কারণ বলতে রাজি নন বিজয়কৃষ্ণ নার্সিংহোম। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই নব দিগন্তের সৃষ্টি করা হয়েছিল। বলা যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের প্রকল্প হিসেবেই পরিচিত এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। কিন্তু সেই প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বদলে টাকা আত্মসাৎ করার যে অভিযোগ একগুচ্ছ নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে উঠতে শুরু করল, তাতে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাচ্ছে প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, “যাতায়াতের খরচ দিয়ে এমনকি গাড়ি পাঠিয়ে গ্রামের লোকেদের নার্সিংহোমে ভর্তি করেছে। সামান্য গায়ে ব্যথা বা জ্বরে আট-দশ দিন করে তাদের নার্সিংহোমে রেখে 70 থেকে 75 হাজার টাকার বিল করেছে। অনেককে নার্সিংহোমে আসার জন্যও টাকা দিয়েছে।” সব মিলিয়ে এই রহস্য ভেদ করতে এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!