এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > মিড ডে মিলেও ভয়াবহ দুর্নীতি? মাথায় হাত মমতার! বড়সড় চ্যালেঞ্জ বিরোধীদের!

মিড ডে মিলেও ভয়াবহ দুর্নীতি? মাথায় হাত মমতার! বড়সড় চ্যালেঞ্জ বিরোধীদের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এতদিন তৃণমূলের কাছে অস্বস্তির কারণ ছিল শিক্ষক নিয়োগ, কয়লা এবং গরু পাচারের মত ঘটনা। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে ততই একের পর এক ভয়াবহ দুর্নীতির ঘটনায় নাম জড়াতে শুরু করেছে শাসক শিবিরের যার ফলে বিরোধীরা বাড়তি মাইলেজ পেয়ে গিয়ে রীতিমত তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। যদিও বা তাতে কান না দিয়ে পিতৃ পক্ষের মধ্যেই পূজা উদ্বোধনে ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মানুষের কথা শোনার মত সময় তার নেই বলেই দাবি বিরোধীদের। আর এই পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী যে কথা বললেন, তা অত্যন্ত মারাত্মক। রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই বাকিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছেন। যাকে জেরা করে আরও বড় মাথাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলেই দাবি উঠছে নানা মহলের পক্ষ থেকে। কিন্তু অধীর চৌধুরী এই প্রসঙ্গেই মন্তব্য করতে গিয়ে তৃণমূলকে এমন ভাবে অ্যাটাক করলেন, যাতে শাসক দলের ঘুরে দাঁড়িয়ে তাকে মোকাবিলা করা রীতিমত চাপের। পরিস্থিতি দেখে তেমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল।

প্রসঙ্গত, এদিন এই রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারেই মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি মিড ডে মিলের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। আর সেখানেই ভয়ংকর তথ্য সামনে আনেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অধীর চৌধুরী বলেন, “রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় অনেকে জড়িত। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসবে। তবে আমি আবারও শাসকদলকে চ্যালেঞ্জ করছি, করোনার সময় মিড ডে মিলের প্রচুর চাল বিক্রি করা হয়েছে। শিশুদের খাদ্য নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। পারলে সেটা নিয়ে তদন্ত হোক। ইডি, সিবিআই তদন্ত করুক। তৃণমূলের প্রচুর নেতা এতে জড়িত রয়েছে।” আর এখানেই একাংশের দাবি, সমাজের প্রতিক্ষেত্রেই কি তাহলে দুর্নীতি করে রেখেছেন শাসকদলের নেতারা? শিশু খাদ্যকেও কি তারা এই তালিকা থেকে বাইরে রাখেননি! যার কারণে আজকে মিড ডে মিল নিয়েও দুর্নীতির কথা বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁতে দেখা গেল অধীর চৌধুরীকে। যদি দুর্নীতি নাই হত, তাহলে তো অধীরবাবু এত বড় চ্যালেঞ্জ করতেন না। কারন তিনি তো জানেন যে, এই সরকারের বিরুদ্ধে সত্যি কথা বললেই যেভাবে মামলা দিয়ে পুলিশ দিয়ে তাদের হেনস্থা করা হয়, একটু এদিক ওদিক মন্তব্য করলে তাদের ওপর কি না নির্যাতন আসতে পারে! ফলে জেনে বুঝেই তার কাছে তথ্য রয়েছে বলেই তো অধীর চৌধুরী একথা বলেছেন। এখন সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মত ক্ষমতা শাসক দলে রয়েছে কি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সমালোচকরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের শাসক দলের শেষের সময় চলে এসেছে। রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলা ভয়াবহ আকৃতি নেবে গোটা রাজ্য জুড়ে। অনেকেই এর সঙ্গে জড়িত এবং তারা সকলেই এবার জেলের ঘানি টানবেন বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। ফলে এই পরিস্থিতিতে মিড ডে মিল নিয়ে যে ভয়াবহ অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠল, তা কিন্তু মারাত্মক। পুজোর মরশুমে অধীর চৌধুরীর এই বক্তব্য তৃণমূলের কাছে কার্যত গলার কাঁটা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।এদিকে অধীর চৌধুরী এই কথা বলার পরেই তৃণমূলকে চেপে ধরতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, তৃণমূল তদন্তে রাজি হবে, এটা তো অলীক গল্প ছাড়া আর কিছু নয়। সামান্য শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে আদালতের নির্দেশে, সেখানেও তৃণমূল নেতাদের ডাকলে তারা তা এড়িয়ে যাচ্ছেন। আদালতে গিয়ে মুখ রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। তৃণমূল খুব ভালো মতো জানে, দুর্নীতি হয়েছে। সমাজের সব ক্ষেত্রেই তাদের নেতারা দুর্নীতি করেছেন। মিড ডে মিলেও তারা চাল চুরি করে নিজেদের পকেটে কোটি কোটি টাকা জমা করেছেন। তাই এই ব্যাপারে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। যদি তৃণমূল দুর্নীতিতে জড়িত না হয়, তাহলে তাদের ভয়ে থাকার তো কোনো কারণ নেই। কিন্তু তারা যদি এবার এই বিষয়ে তদন্ত হলে সোচ্চার হয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে, তৃণমূল এই চুরিতেও জড়িত বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!