এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভয়ংকর সর্বনাশের পথে রাজ্য! ইতিহাসকেও বদলে দিতে চান মমতা? কটাক্ষ বিজেপির!

ভয়ংকর সর্বনাশের পথে রাজ্য! ইতিহাসকেও বদলে দিতে চান মমতা? কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যকে কিভাবে সর্বনাশের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, তা সকলেই দেখছেন। কিন্তু আইন শৃঙ্খলাকে নষ্ট করার পাশাপাশি এবার ধর্ম এবং শাস্ত্রকেও অমান্য করছেন তিনি। আর এই অভিযোগ আমাদের নয়। এই অভিযোগ করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিয়ম অনুযায়ী, হিন্দু ধর্মের সব থেকে বড় উৎসব এবং পুজো দুর্গা পুজো। সেই দুর্গাপুজোর উদ্বোধন হয় দেবীপক্ষের সূচনার পর। কিন্তু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এতই ব্যস্ত যে, তিনি পিতৃপক্ষের সময়ই ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলার পূজা উদ্বোধন করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন হিন্দু সমাজের প্রতিনিধিদের। আর সেই প্রসঙ্গেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ইতিহাস বদলে ফেলার মত ভয়ংকর অভিযোগ উঠল মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যে অভিযোগ তুলে হিন্দু সমাজের মন জয় করে নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তেমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল।

প্রসঙ্গত, এদিন একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে হিন্দু সমাজের উদ্দেশ্যে বড় প্রশ্ন ছুড়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “আপনারাই বলুন, পিতৃপক্ষের সময় কি পুজোর উদ্বোধন করা যায়? মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করতেই পারেন, তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু নিয়মকে এভাবে বদলে ফেলা হবে কেন? হিন্দুদের ধর্ম অনুযায়ী পঞ্জিকা দেখে সমস্ত কিছু হয়। তাহলে পঞ্জিকা মতে দেবীপক্ষ পড়ার আগেই কেন মাতৃপ্রতিমার উদ্বোধন করে দেওয়া হবে? এরা ইতিহাসকে বদলে ফেলতে চাইছে, ধর্মকে বলতে ফেলতে চাইছে।” আর শুভেন্দু অধিকারীর তোলা এই প্রশ্নকে যুক্তিসম্মত বলেই ব্যাখ্যা দিচ্ছেন একাংশ। তাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী দেবীপক্ষের সময় পুজোর উদ্বোধন করলে কি খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যেত? পিতৃপক্ষের সময় হিন্দু শাস্ত্রকে অমান্য করে তিনি কোন বার্তা দিতে চাইলেন বাংলার মানুষকে! তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীর তোলা অভিযোগ সত্যি! ভার্চুয়ালি তো দেবীপক্ষ পড়ার সময়ও তিনি এই পুজোগুলোর উদ্বোধন করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে গায়ের জোরে তার নিয়ম মানার কথা বলে যে পরিস্থিতি তিনি গোটা রাজ্যে তৈরি করলেন, তাতে তার এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে হিন্দুরা যে একত্রিত হতে শুরু করেছে, তাতে নিশ্চিত সমালোচকরা।

বিজেপির দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সব সময় অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি ইতিহাসকে বদলে ফেলছে। কিন্তু তিনি যেভাবে তার নিয়মকে পালন করার কথা বলে বাংলার হিন্দু ধর্মের ভাবাভেগে আঘাত করছেন! পঞ্জিকাকে অমান্য করে, “তার কথাই শেষ কথা” এটা বোঝানোর চেষ্টা কেন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করে আজকে রাজ্যকে তিনি ভয়ংকর জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। হিন্দু ধর্ম বলেই কি তিনি এই সমস্ত করার মত সাহস রাখেন? কিন্তু সাধারণ মানুষের জাগতে বেশি সময় নেই‌। এভাবেই যদি রাজ্যকে তিনি ভয়ংকর জায়গায় নিয়ে শুরু করেন, তাহলে প্রত্যাঘাত হবে। আর তাতে জেরবার হবে অশুভ শক্তিরা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী হয়ত ভাবছেন, তিনি ক্লাবগুলোকে 70 হাজার টাকা করে দিচ্ছেন। সুতরাং তার কথা মতই সবকিছু হবে। কিন্তু নন্দীগ্রামের বেশিরভাগ ক্লাব স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা দেবীপক্ষের সময় পুজোর উদ্বোধন করতে পারবেন না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পঞ্জিকাকে অমান্য তো করছেনই। পাশাপাশি এই রাজ্য সরকার একটা সরল সত্য বুঝতে পারছে না যে, গ্রামের ক্লাবগুলো এত তাড়াতাড়ি পুজো মণ্ডপ এবং প্রতিমা তৈরি করতে পারে না। তাদের পুজো শুরু হয় পঞ্চমী এবং ষষ্ঠী থেকে। ফলে এত তাড়াহুড়ো করে মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে উদ্বোধন করা অনেকের কাছেই সম্ভবপর হচ্ছে না। কিন্তু তবুও ক্ষমতার কাছে হয়ত অনেক অসহায় ক্লাবগুলিকে মাথা নত করতে হচ্ছে। তবে শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তাতে সাধারণ মানুষের চোখ খুলতে শুরু করেছে। ইতিহাসকে বদলে ফেলার যে ভয়ংকর অভিযোগ তিনি এই রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করলেন, তাতে আগামী দিন শাসকের ক্ষেত্রে অত্যন্ত চাপের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!