এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ১৯ শে ব্রিগেডে জেলা থেকে লক্ষ লক্ষ জনসমাগম করতে বিশেষ মনিটরিং কমিটি ঘিরে তীব্র অসন্তোষ শাসক দলের অন্দরেই

১৯ শে ব্রিগেডে জেলা থেকে লক্ষ লক্ষ জনসমাগম করতে বিশেষ মনিটরিং কমিটি ঘিরে তীব্র অসন্তোষ শাসক দলের অন্দরেই

শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের উনিশের ব্রিগেড অভিযানকে সামনে রেখে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে দলের চেয়ারম্যান মহম্মদ সোহারাবের এর নেতৃত্বে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে মোহম্মদ আলি ও সাগির হোসেনকে।এছাড়াও এই কমিটিতে আরো দুজন মুখপাত্র নিয়োগ করা হয়েছে, বলে জানান জেলা সভাপতি সুব্রত সাহা। কিন্তু, এই কমিটিকে ঘিরে দলের অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

অনেক নেতাই বলছেন এরকম কোন কমিটির কথা তাঁরা জানেন না।অন্যদিকে, সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, “আগামী ১৯ শে জানুয়ারি জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ব্রিগেডে এক মহাসমাবেশ রয়েছে। সেখানে এই জেলা থেকে প্রায় ৩ লক্ষ লোককে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তা বাস্তবায়িত করা এই কমিটির লক্ষ্য। ওই কমিটি ও পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর সভাপতিত্ত্বে ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভা ও প্রচার অভিযান করা হবে”।

সুব্রতবাবু আরও বলেন, “শুধুই কমিটি গঠন করা হয়নি একই সঙ্গে প্রতিটি ব্লকেই একজন করে পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করা হয়েছে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে”। ব্রিগেড সমাবেশের আর মাত্র কিছুদিন বাকি আছে ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় প্রস্তুতি তুঙ্গে। মুর্শিদাবাদ জেলায় কিছুদিন আগেই নওদা ও নবগ্রামে জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সভা করে গেছেন।

এরপর এই মনিটরিং কমিটি কথা ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি। চেয়ারম্যান ও যুগ্ম-আহ্বায়ক ছাড়াও ১৪ জনের এই কমিটিতে রয়েছেন, সহ সভাপতি অশোক দাস, রাষ্ট্রমন্ত্রী জাকির হোসেন, বিধায়ক আখরুজ্জামান ও আবু তাহের খান, ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেন, সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মন্ডল, প্রাক্তন সাংসদ মাইনুল হাসান, সুবধ দাস, রঞ্জন ভট্টাচার্য, সুজাতা বন্দোপাধ্যায় ও সপ্তর্ষি সাহা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য, সপ্তর্ষি সাহা জেলা সভাপতি সুব্রত সাহার ছেলে। এছাড়াও সুবোধ দাসকে জেলা কমিটিতে আরো একজন মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্রের সংখ্যা হল দুজন। কিন্তু, এই পুরো বিষয়টিকে নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে দলের অভ্যন্তরে। দলের একাংশের মতে, উপদল তৈরি করে দলের পুরো ক্ষমতা কুক্ষিগত করার উদ্দেশ্যে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী।

এতে সার্বিকভাবে দলের তো কোনো লাভ হবে না উল্টে সদ্য গ্রাম গঞ্জে গড়ে ওঠা দলের শক্ত ভিত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দলের জেলা সহ-সভাপতি তথা মুখপাত্র অশোক দাস এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যকে বলেন, “দলের এই সব সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে আমার কিছু জানা নেই। কোর কমিটিকে অন্ধকারে রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রীকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে এখন তিনি যা ভালো বুঝবেন তাই করবেন”।

পাশাপাশি কোর কমিটির সদস্য তথা ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেন সংবাদমাধ্যকে বলেন, “ওই কমিটি সম্পর্কে কিছু জানা নেই”। এমনকি জেলা কোর কমিটির সদস্য বিধায়ক নিয়ামত শেখ সংবাদমাধ্যকে বলেন, “কিছু নেতা দলটাকে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাবছেন। কোর কমিটিতে কোন কিছু আলোচনা না করেই এই নেতা একাই, একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এইভাবে স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত নেওয়াকে আমরা মানছি না”।

এদিকে দলের সভাপতি সুব্রত সাহা ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, “পাচঁ দিন আগেই দলের বর্ধিত সভা করা হয়। ওই সভাতেই সিদ্ধান্ত হয় ব্রিগেড চলো অভিযান তদারকির জন্য একটি মনিটরিং কমিটি গড়ার কথা। এ প্রস্তাব সুব্রতবাবুই দেন, তখন তো কেউ আপত্তি করেননি। তাহলে এখন কেন এত কথা উঠছে? আর তাছাড়া দলের প্রায় সকলকেই মনিটরিং কমিটিতে রাখা হয়েছে। তাই এ নিয়ে বিতর্কের কোন প্রশ্ন আসে না”। সবমিলিয়ে আসন্ন ব্রিগেড সমাবেশকে ঘিরে একদিকে সাজো সাজো রব – অন্যদিকে তীব্র বিতর্ক শাসকদলের অভ্যন্তরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!